AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

খোলা বাজারে বিকোচ্ছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের ফর্ম! ‘কাটমানি’র অভিযোগে তুলল বিজেপি

Residential Certificate: দু’টাকার বিনিময়ে সেই ফর্ম কিনতে হচ্ছে আমজনতাকে৷ নির্দিষ্ট দোকান থেকে ফর্ম কিনে আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর মীর হাসিমের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁর সই করালে তবেই মিলছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট। শুক্রবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করল বিজেপি।

খোলা বাজারে বিকোচ্ছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের ফর্ম! 'কাটমানি'র অভিযোগে তুলল বিজেপি
বাজারে বিকোচ্ছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের ফর্ম! নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 10:45 PM
Share

আসানসোল: পুরনিগমের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের ফর্ম বিকোচ্ছে খোলা বাজারে! জেরক্সের (Xerox) দোকানে গিয়ে দু’টাকা খরচ করলেই মিলছে আবেদনপত্র। তাই কিনতে দেদার ভিড়ও হচ্ছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে কাটমানি সংগ্রহ হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ পুরনিগম। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর আসানসোলে৷

রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। প্রায়শই মানুষের বিভিন্ন সরকারি কাজে এটা লাগে। নিয়মমাফিক আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য হিসাবে মীর হাসিমের নিজস্ব লেটার হেডে নির্দিষ্ট ফরম্যাট মেনে আবেদনকারীদের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। মীর হাসিমের কাছে কেউ রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট চাইতে গেলেই তিনি নাকি জানিয়ে দিচ্ছেন পাশের দোকান থেকে ফর্ম কিনে আনতে হবে আবেদনকারীকে!

এরপর দু’টাকার বিনিময়ে সেই ফর্ম কিনতে হচ্ছে আমজনতাকে৷ নির্দিষ্ট দোকান থেকে ফর্ম কিনে আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর মীর হাসিমের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁর সই করালে তবেই মিলছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট। শুক্রবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করল বিজেপি।

আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের অন্যতম সদস্য মীর হাসিম৷ পুরনিগমের আট নম্বর বরোর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি৷ কুলটির বিভিন্ন এলাকা এই বরোর আওতাভুক্ত৷ কুলটির নিয়ামতপুরেই মীর হাসিমের নিজস্ব কার্যালয় রয়েছে। সেটিকে দলীয় কার্যালয় হিসাবেই ব্যবহার করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। আবার মীর হাসিম সেখানে বসেই পুরনিগমের বিভিন্ন শংসাপত্র বিতরণের কাজ করেন। সেই ফর্ম আবার তাঁর পছন্দমতো দোকান থেকে কিনে আনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। একটি জেরক্সের দোকানে গিয়ে ২ টাকা দিলে পাওয়া যাচ্ছে এই বিশেষ ফর্ম।

এ নিয়ে কুলটির বিজেপি নেতা সন্তোষ ভার্মার দাবি, ‘‘প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ এই রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নেন৷ দু’টাকা সামান্য মনে হলেও শুধুমাত্র এই ফর্ম বিক্রি করেই প্রচুর টাকা উঠেছে৷ তার কাটমানি ঢুকছে শাসকদলের নেতাদের পকেটে। এছাড়া আরও অনেক দুর্নীতি হতে পারে৷’’ এর পরেই সন্তোষ ভার্মার প্রশ্ন, পুরনিগমের নথিপত্র সাধারণ জেরক্সের দোকানেই বা বিক্রি হবে কেন?

যদিও এই বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ মীর হাসিম নিজে৷ তাঁর দাবি, ‘‘মানুষের কাছে একটাকা, দু’টাকা এমন কোনও ব্যাপার নয়৷ আমাকে পুরনিগম থেকে যে পরিমাণ ফর্ম দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে৷ পরবর্তীকালে আমি নিজেও আরও দু’হাজার ফর্ম ছাপিয়েছি৷ সেটাও শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন ফর্ম জেরক্স করে কাজ চালাতে হচ্ছে৷’’ পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যের মতে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না মনে হলেও সরগরম কুলটির রাজনৈতিক মহল৷

আরও পড়ুন: ‘উনি নাকি রাজ্য সভাপতি হবেন!’, কৃষ্ণকে পাল্টা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে কটাক্ষ দেবশ্রীর