Asansol: দুই গোষ্ঠী তৃণমূলের, একদল লাগাল তালা, অন্য়দল চাইছে ফিরে আসুক শিক্ষার পরিবেশ

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 16, 2024 | 8:34 PM

Asansol: আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৯ দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে চলছে আন্দোলন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে সেভাবে কোনও কাজকর্ম করতে পারছে না সেই বিদ্যালয়ের কর্মী থেকে শুরু করে অধ্যক্ষরা বলে অভিযোগ।

Asansol: দুই গোষ্ঠী তৃণমূলের, একদল লাগাল তালা, অন্য়দল চাইছে ফিরে আসুক শিক্ষার পরিবেশ
কাজী নজরুল ইসলাম
Image Credit source: Facebook

Follow Us

আসানসোল: দুই গোষ্ঠী তৃণমূলেরই। একদল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝুলিয়েছে তালা। অন্যদল আবার সেই তালা খুলে শিক্ষা পরিবেশ ফেরাতে চাইছে পুনরায়। ঘটনাটি আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের রুমে তালা লাগিয়ে লাগাতার আন্দোলন করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পাল্টা মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে পাল্টা আন্দোলনের নেমে পড়লেন সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির সদস্য শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। প্রথমে তারা পালটা ধরনা অবস্থান শুরু করলেন। পরে তালা খোলানোর উদ্যোগ নেন।

আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৯ দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে চলছে আন্দোলন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে সেভাবে কোনও কাজকর্ম করতে পারছে না সেই বিদ্যালয়ের কর্মী থেকে শুরু করে অধ্যক্ষরা বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও প্রশাসনকে নাকি তারা জানিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে কাউন্সিলিং। ফলে বন্ধ হয়ে আছে সেই কাজ। এই অবস্থায় বহু ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে ফিরে যাচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বা কর্মীরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন তাদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সেলের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আন্দোলন হয়েছে কিন্তু এভাবে তালা ঝুলিয়ে কখনো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে মহিলাদেরও হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।” আন্দোলনরত অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে যারা তালা ঝুলিয়েছে তারা বহিরাগত। কেউ কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা ছাত্রী নয়। তারা অন্য কোনও কলেজের ছাত্র কি না সে বিষয়েও সন্দেহ রয়েছে।”

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষা খাতের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে। রাজ্যপাল কর্তৃক নিয়োগ ওই উপাচার্য আইন আদালতে প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ করে বসে আছেন। আমরা সেই হিসেব না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যারা আমাদেরকে বহিরাগত বলছে আসলে তারাই বহিরাগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নন এমন অনেকে ওই আন্দোলনে আছেন। কয়েকদিন পরেই জানতে পারবেন তৃণমূলের নামে প্রকৃত আন্দোলন কারা করছে।”

অন্যদিকে, অভিভাবকরা এদিন আওয়াজ তোলেন এই অচল অবস্থা কতদিন চলবে? রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে তারা ঘিরে ধরেন। চন্দন কণার বলেন, “বহিরাগত কেউ তালা দিয়ে গিয়েছে। অভিভাবকদের পাল্টা প্রশ্ন, আপনার অফিসে তালা দিয়ে গেল আপনি কেন পুলিশকে দিয়ে তা খোলালেন না ? সেই দায়িত্ব কার?”

Next Article