দুর্গাপুর: পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের পাণ্ডবেশ্বরের (Pandabeswar) ডিভিসি পাড়া। রবিবার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের সময় মুখোমুখি হয়ে পড়ে যুযুধান দুই পক্ষ, তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। প্রথমে বচসা, কিছুক্ষণ বাদে শুরু হয় মারামারি। মাথা ফাটল কয়েকজনের, আহত হলেন দু’পক্ষরই কর্মী। সেই ঝামেলার যাবতীয় দায় তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ওপর চাপালেন পাণ্ডবেশ্বরের বিদায়ী বিধায়ক তথা বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া জিতেনের কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রী জানেন না কাকে প্রার্থী করেছেন। যিনি ভোটে দাঁড়িয়েই মানুষের মাথা ফাটাচ্ছেন, বিধায়ক হলে তো স্পিকারের মাথা ফাটাবে!”
এর পর আবার তৃণমূল কাকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী করলে ভাল করত সেটাও বাতলে দিলেন দলত্যাগী জিতেন। তাঁর কথায়,”তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, রানিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বা দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে পারত তৃণমূল!”
পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথও। তাঁর দাবি, দাঙ্গা লাগানো, মানুষকে উস্কানি দেওয়া ভোটের আগে কোনওকিছুই তো বাদ দিচ্ছেন না বিজেপি প্রার্থী! নরেন্দ্রনাথের অভিযোগ, তাঁকেও ‘খাঁচায় পোরা’র হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিজেপির জিতেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের এ সব দাওয়াই শুনে ভিরমি খাবে করোনাও!
আর তাঁর বদলে তৃণমূল কেন অন্য কাউকে প্রার্থী করল না, জিতেনের এই কটাক্ষের জবাবে একসময়ের সতীর্থের খোঁচা, ‘এই ধরনের মানুষের কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।’