Dilip Ghosh On Bayron Biswas: বাইরন তৃণমূলে যাওয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ দিলীপের

Dilip Ghosh On Bayron Biswas: মেদিনীপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, " সব থেকে বড় দুঃখের বিষয় সংখ্যালঘু সমাজ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে এসেছে, প্রতারিত হয়েছে, বঞ্চিত হয়েছে। তাঁরাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ওঁকে জিতিয়েছিলেন। তাঁরা এখন সব থেকে বেশি হতাশ।"

Dilip Ghosh On Bayron Biswas: বাইরন তৃণমূলে যাওয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ বাইরন বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 11:36 AM

মেদিনীপুর: সোমবার সবচেয়ে বড় চমক দিয়েছে তৃণমূল। ঘাটালের তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। শুধুই সাগরদিঘির বিধায়ক নয় বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী এবং বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র মুখ হিসাবেও বাইরন প্রতিনিধিত্ব করলছিলেন। কিন্তু তাঁর দলবদলে বাম-কংগ্রেস জোটই সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন অন্য কথা। তাঁর দাবি, বাইরনের দলবদলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন সংখ্যালঘুরাই। তাঁরাই বাইরনের সবচেয়ে বড় মুখাপেক্ষী ছিলেন। মেদিনীপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সব থেকে বড় দুঃখের বিষয় সংখ্যালঘু সমাজ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে এসেছে, প্রতারিত হয়েছে, বঞ্চিত হয়েছে। তাঁরাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ওঁকে জিতিয়েছিলেন। তাঁরা এখন সব থেকে বেশি হতাশ।” সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে দিলীপ আরও বলেন, “যাঁকে ওঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁরাই ওঁদেরকে ধোঁকা দেন। তাঁরা এখন কী করবেন!”

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাইরনকে প্রার্থী করার ব্যাপারে কংগ্রেসের চিন্তাভাবনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “যখন বাইরনকে টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস, তখন কেউ জানত না ওঁর সম্বন্ধে। ওঁ কবে কংগ্রেস করেছেন? ওঁর টাকা পয়সা আছে, বড় ব্যবসায়ীর ছেলে, তাই টিকিট দিয়ে দিয়েছেন।”

দিলীপের আরও যুক্তি, “কংগ্রেস, সিপিএমের ভোটার কারা? তাঁরাই, যাঁরা গত বিধানসভায় আমাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা দেখেছেন, তৃণমূল তাঁদের ভোট নিচ্ছে আর তাঁদের সঙ্গেই গদ্দারি করছে। তখন তাঁরাই আবার তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, দুধে আমে এক হয়ে গিয়েছে। আর আটি পড়ে আছে সিপিএম-কংগ্রেস।”

প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন বাইরন। কিন্তু এখন তৃণমূলে যোগ দিয়ে সেই বাইরনই দাবি করেছেন, তাঁর জয়ে কংগ্রেসের কোনও অবদান নেই। তাঁর জয়ের পিছনে কাজ করেছে বাইরন-ম্যাজিকই। সাগরদিঘিতে দাঁড়িয়ে আবারও জিতে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি। কিন্তু বাইরনের দলবদলের পরই যেভাবে সাগরদিঘি জুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে, যে বিজেপি সংখ্যালঘু ফ্যাক্টরকেও তুলে ধরছে, তাতে বাইরনের চ্যালেঞ্জ কতটা কার্যকরী হবে, সেটাই দেখার। অভিষেক আবার বলেছিলেন বলেছেন, ” বিজেপির জন্য দরজাটা খুলিনি। খুললে একটু ফাঁক করলে অনেকেই গলে যাবেন। সুতরাং স্ক্রিনিং করে নেওয়ার প্রশ্ন যেহেতু, তাই বিজেপির যাঁরা যোগাযোগে রয়েছেন, তাঁদের বলি, রাজনীতিতে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটটা সঠিকভাবে যখন বলে লাগে, তখন চার কিংবা ছয় হয়। তাই যখন দরজা খোলা হবে, নিশ্চিত অনেকে ঢুকে যাবেন।”