দেনার টাকা মকুবের প্রতিশ্রুতি আইপিএস অফিসারের, নগদ হাতে পেতেই সামনে এল সত্যি!

Fake Officer: বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, ধৃত সৌম্যকান্তি নিজেকে আইপিএস অফিসার (Fake IPS Officer) পরিচয় দিয়ে স্থানীয় তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির থেকে মোটা অর্থ আদায় করেন।

দেনার টাকা মকুবের প্রতিশ্রুতি আইপিএস অফিসারের, নগদ হাতে পেতেই সামনে এল সত্যি!
ভুয়ো অফিসার, নিজস্ব চিত্র

| Edited By: tista roychowdhury

Aug 19, 2021 | 2:14 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলায় ফের ধরা পড়ল ভুয়ো আইপিএস অফিসার (Fake IPS Officer)। ধৃতের নাম সৌম্য়কান্তি মুখোপাধ্যায়। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার, লাইব্রেরি রোড থেকে সৌম্যকান্তিকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, ধৃত সৌম্যকান্তি নিজেকে আইপিএস অফিসার (Fake IPS Officer) পরিচয় দিয়ে স্থানীয় তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির থেকে মোটা অর্থ আদায় করেন। অভিযোগ,  তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি অনেকগুলি দেনায় জড়িয়ে যান। সেইসময়, সৌম্যকান্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। অভিযোগ, সৌম্যকান্তি জানান, তিনি পেশায় আইপিএস অফিসার। তাপসবাবুর বাকি দেনার টাকা যাতে শোধ করতে না হয় তার জন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বিষয়টি মিটিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন সৌম্যকান্তি। পরিবর্তে, কিছু অর্থ দিতে হবে। সেই মোতাবেক তাপসবাবু ওই ভুয়ো অফিসারকে বরাদ্দ অর্থও দিয়ে দেন। কিন্তু, মাস কেটে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সৌম্যকান্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে অভিযোগ তাপসবাবুর। এদিকে, পাওনাদারের চাপ বাড়তে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। কিন্তু , দেনা শোধের কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে অবশেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তদন্ত নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, ধৃতর কাছ থেকে আইপিএস অফিসারদের একটি ব্যাজ়, কিছু স্টার, রিভলবার রাখার খাপ, বেল্ট ছাড়াও আরও কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না, কতদিন ধরে ওই ব্যক্তি ভুয়ো আধিকারিকের ভূমিকা পালন করছেন সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য়, কিছুদিন আগেই শালবনির বাসিন্দা সমরেশ মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে এক ভুয়ো ডিএসপি অধিকর্তাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, ট্রাফিক হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার নাম করে অভিযোগকারীর থেকে ৩৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ধৃত। আরও পড়ুন: ‘দিদির উপর ভরসা করলে তালিবানের গুলি খেতে হবে তাই…’, ‘বিকল্প’-সন্ধানী দিলীপ