পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘাটালে মনসুকায় ঝুমি নদীর উপর ভগবতী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই দেখা দিয়েছে ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জমির জটিলতা। পুনর্বাসনের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। জট কাটাতে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। ব্রিজ তৈরিতে কয়েক বছর পার হলেও এখনও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের মানসুকা এলাকার ঝুমী নদীর উপর,একটি কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের দাবি তুলেছিল শতাধিক গ্রামের মানুষ। কারণ এই ঝুমি নদীর উপর একাধিক অস্থায়ী বাঁশের কাঠের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হত তাঁদের। বর্ষা আসলে সেই সাঁকোগুলি বন্যায় যেত, এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হত নৌকোয়। যাতায়াতের সুবিধার্থে ঝুমি নদীর উপর ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে ভগবতী সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এই সেতুর জন্য। ২০২১ সালের পর থেকে সেতু তৈরিতে ঢিলেমি করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একাধিকবার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়। কিন্তু এখনও কয়েক বছর পেরিয়ে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়নি। এবার সেই ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জটিলতা বেঁধেছে। জটিলতা কাটাতে মনসুকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতে বসে প্রশাসনিক বৈঠক।
এই সেতুর একদিকের অর্থাৎ হুগলির দিকে সেতু সংযোগকারী রাস্তা হলেও অন্য দিকে অর্থাৎ ঘাটালের দিকে সেতু সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জমি জটিলতা দেখা দিয়েছে। ভাঙতে হবে একটি কাঠ মিল ৪ টি বসতবাড়ি, পড়বে বেশ কিছু কৃষি জমি। পুনর্বাসনের দাবি, বাড়ি মালিকদের। সংযোগকারী রাস্তার জন্য চায় ৪২০মিটার জমি। এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা, সমস্যা মেটাতে বসে প্রশাসনিক বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমুলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুদাইত, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, বিডিও অভিক বিশ্বাস। মহকুমার একাধিক শাসক দলের নেতাকর্মীরা। যদিও জমি ও বাস্তদাতাদের দাবি আগে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।