AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ghatal Fraud Case: ঘটে ১০ হাজার রাখলেই সংসারে ফিরবে সুখ! সাধুর খপ্পরে পরপর তিনটি গ্রাম

Ghatal Fraud Case: সাধু গ্রামবাসীদের ঘটের মধ্যে টাকা রাখতে বলেন। ঘটে দশ হাজার করে টাকা রেখে শুরু হয় পুজো। সাধু এটাও নিদান দেন, পুজো শেষে ২১ দিন ছোঁয়া চলবে না এই ঘট। আর তার কয়েকদিন পরে সাধু পাশের গ্রাম থেকে ঘুরে আসা কথা বলে চম্পট দেয়।

Ghatal Fraud Case: ঘটে ১০ হাজার রাখলেই সংসারে ফিরবে সুখ! সাধুর খপ্পরে পরপর তিনটি গ্রাম
ঘাটালে প্রতারিত ব্যক্তিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2023 | 11:52 AM
Share

ঘাটাল: প্রতারণার নিত্য নতুন ফাঁদ পাতছেন প্রতারকরা। বিশেষজ্ঞরা সচেতনতার পাঠও দিচ্ছেন। কিন্তু তার মধ্যেই ফাঁদে পা দিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। সাধু বাবার খপ্পরে পড়ে দশ হাজার টাকা খোয়ালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের এক পরিবার। প্রতারিত হওয়ার পর পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ততক্ষণে ধাঁ প্রতারক সাধু। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কেবল ঘাটালের এই পরিবারই নয়, দাসপুর ও চন্দ্রকোণার বিভিন্ন এলাকায় একই কায়দায় একাধিক ব্যক্তিকে নিজের ফাঁদে পেতেছিলেন ওই সাধু।

ঘাটালের রাধানগর গ্রামের দাসপাড়ায় গত কয়েকদিনে একদিন এক সাধু বাবার আবির্ভাব হয়। ওই ব্যক্তি দাবি করতে থাকেন, তিনি নদিয়ার মায়াপুর থেকে এসেছেন। গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয়ও নেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামবাসীদের বিশ্বাস অর্জন করেন। গ্রামের অনেকের হাত দেখেন। বেশ কিছু সমস্যার কথা বলেন, যা শুনে তার ওপর আস্থা চলে আসে অনেকের।

সাধু বলেন, প্রত্যেকের পরিবারেই এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যার জন্য সংসারে নিত্য অশান্তি লেগে রয়েছে। বাড়িতে পুজো করলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলেও নিদান দেন। সাধুর কথা মতো, গ্রামেরই এক ব্যাক্তির বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়। সঙ্গে যজ্ঞও হয়।

সাধু গ্রামবাসীদের ঘটের মধ্যে টাকা রাখতে বলেন। ঘটে দশ হাজার করে টাকা রেখে শুরু হয় পুজো। সাধু এটাও নিদান দেন, পুজো শেষে ২১ দিন ছোঁয়া চলবে না এই ঘট। আর তার কয়েকদিন পরে সাধু পাশের গ্রাম থেকে ঘুরে আসা কথা বলে চম্পট দেয়। তারপর গ্রামে আর ফেরেননি ওই সাধু। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে তারা ঘট খুলে দেখেন, টাকা নেই শুধু ঘট পড়ে রয়েছে। তারপরই হইচই পড়ে যায় পুরো গ্রামে।

রাধানগর গ্রামের দাসপাড়া এলাকার মনসা দাস, লালু দাস, সুনীল দাস প্রতারিত হয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চন্দ্রকোণার ঝাঁকরা, কেচকাকাপুর গ্রামের বেশ কয়েকজনের সঙ্গেও ওই একই ব্যক্তি এইভাবে প্রতারণা করেছেন। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের চেহারার বর্ণনা নিয়েছে পুলিশ। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।