AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hiran Chatterjee: ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, শুভেন্দুর পর হিরণের PA-র বাড়িতে হানা পুলিশের, রাতেই ছুটলেন BJP প্রার্থী

Hiran Chatterjee:জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়গপুরের তাল বাগিচায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পিএ তমঘ্নর বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। কার্যত পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, কী কারণে পুলিশ আচমকা এই অভিযান করছে তা জানায়নি।

| Edited By: | Updated on: May 22, 2024 | 11:03 AM
Share

খড়গপুর: বিধান সভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া নেওয়া গেস্ট হাউজ়ে আচমকা পুলিশি অভিযানের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই এবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক তমঘ্ন দে-র খড়গপুরের বাড়িতে পুলিশের হানা। খবর পেয়ে রাত্রিবেলাই সেখানে পৌঁছলেন হিরণ।

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়গপুরের তাল বাগিচায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পিএ তমঘ্নর বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। কার্যত পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, কী কারণে পুলিশ আচমকা এই অভিযান করছে তা জানায়নি। এমনকী তল্লাশি করার কোনও কাগজ সঙ্গে আনেনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে হিরণকে বলতে শোনা যায়, “তদন্তের কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গী এসেছে। আমার পিএ-র বাড়িতে রাত্রি সাড়ে তিনটের সময় পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে। আর তমঘ্নর মা হার্টের রোগী। অথচ কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না।”

বুধবার এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরণ বলেন, “আমাদের পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির মেদিনীপুরের বাড়িতে, পার্টির সম্পাদক তথা মাস্টারমশাই সৌমেন মিশ্রর কেশপুরের বাড়িতে এবং আমার আপ্ত সহায়ক তমঘ্ন দে-র খড়গপুরের বাড়িতে রাত্রি দুটো থেকে তিনটের মধ্যে হানা দেয়। ওদের কাছে কোনও কাগজ-পত্র ছিল না। আমি জানার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাই। আমি ওদের কাছে একটাই প্রশ্ন করি আপনাদের কাছে কী কাগজ রয়েছে? ওরা বলছে না আপনাকে দেখাব না। আমি বললাম যে আমি তো সাধারণ মানুষ নই। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এলাকার বিধায়ক। নির্বাচিত প্রতিনিধি।” এরপরই এই ঘটনার পিছনে দেব ওরফে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে দুষে হিরণ বলেন, “ওরা জানে ভোটে জিততে পারবে না। এর আগে এখানকার অভিনেতা সাংসদ বুথ জ্যাম করে ভোটে জিতেছিলেন। এবার তা হবে না। মান সম্মান জলাঞ্জলী যাবে। তাই এগুলো শেষ অস্ত্র। পুলিশকে দিয়ে সন্ত্রাস তৈরি করো। উনি তো নাকি সৌজন্যতার প্রতীক। বাংলার মানুষ দেখুক তাঁর সৌজন্যতা।”

প্রসঙ্গত, গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে পুলিশের এই সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকেও। হিরণের মতো তিনিও দাবি করেন, “সার্চ ওয়ারেন্ট, ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়া… আমার বা আমার অনুমোদিত লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে?” তবে নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে বিজেপি বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোয় উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন।