রাস্তার কল থেকে নেওয়া যাবে না জল! পিটিয়ে ‘খুন’ করা হল বিজেপি কর্মীকে

Paschim Medinipur: মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলে পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়।

রাস্তার কল থেকে নেওয়া যাবে না জল! পিটিয়ে 'খুন' করা হল বিজেপি কর্মীকে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 12:48 PM

মেদিনীপুর: জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরেই ঘটনার সূত্রপাত। মেদিনীপুরে খুন বিজেপি কর্মী। মেদিনীপুরের বড়বাজার এলাকার ঘটনা। বিজেপি করার জন্যই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, অভিযোগ স্ত্রীর। এদিকে, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম দেবাশিস শীল।

মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলে পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়। প্রথমে বচসা আর তার থেকে হাতাহাতি। ঘটনায় গুরুতর আহত হন দেবাশিস। তাঁকে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা দেবাশিসকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রাতে মৃত্যু হয় দেবাশিসের।

ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর শহরের বড়বাজার এলাকায়। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। তাঁর দাবি, গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তিনজনকে।

দেবাশিসের স্ত্রী বলেন, “আমার পাশের বাড়িতেই থাকে মমতা। ওরা তৃণমূল করে। আমাকে জল নিতে বাধা দিত। আমি জল আনতে গিয়েছিলাম, তখনই ঝামেলা করতে থাকে ওরা। বিজেপি করি বলে জল নিতেও দিত না। আমাকে স্বামীকে ঘুষি মেরেছে, লাথি মেরেছে। আমাকে কামড়েছে।”

এদিকে বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, “দেবাশিস শীল আমার ১৯৯ নম্বর বুথের সাধারণ সম্পাদক। বুথের রেজাল্ট খারাপের পর থেকেই দেবাশিসকে হুমকি দেওয়া হত। কলের জল ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এই নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে। দেবাশিসের স্ত্রী আগেই পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী মমতা দে গতকাল জল নেওয়ার সময়ে বাধা দেন। তখন ঝামেলা হয়। দেবাশিস বেরিয়ে এলে তাঁকে মারধর করা হয়। পেয়ারা ডাল, থালা দিয়ে মারে। মাথায় চোট লাগে। তার জেরেই মৃত্যু।”

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশকে আগেই জানিয়েছিলেন দেবাশিসের স্ত্রী। ভোটের পর থেকেই তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত। এই বিষয়ে যদি পুলিশ আগেই পদক্ষেপ করত, তাহলে এই খুনের ঘটনা ঘটত না।

যদিও রাজনৈতিক গন্ডগোলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, “এটি সম্পূর্ণ পাড়াগত বিবাদ। সেই বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন দেবাশিস। বিজেপি গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে।”  ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদৌ রাজনৈতিক কারণ নাকি পারিবারিক শত্রুতা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: আক্রান্তদের ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে থাকছে খামতি! সিবিআই-এর স্পেশ্যাল টিমে এবার বাঙালি তদন্তকারীরা