Paschim Medinipur: SSC-র ফ্রেশ সিলেকশনের প্রশ্নপত্র আগে পাইয়ে দেওয়া হবে! পোস্ট করতেই গ্রেফতার যুবক
Paschim Medinipur: বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করে ও তদন্তে উঠে আসে যে ওই ব্যক্তির ঠিকানা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতে লোড়পুর গ্রামে।

পশ্চিম মেদিনীপুর: SSC-র ফ্রেশ সিলেকশনের প্রশ্নপত্র আগে পাইয়ে দেওয়া হবে! সামাজিক মাধ্যমে এহেন পোস্ট করে গ্রেফতার যুবক। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে। জেলা পুলিশের নজরে একটি ফেসবুক পোস্ট পড়ে। যেখানে অনির্বাণ পাল নামের এক ব্যক্তি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আসন্ন SLST পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও তার উত্তর, পরীক্ষার দুদিন আগে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছে l উক্ত পোস্টটিতে ওই ব্যক্তি নিজেকে মুর্শিদাবাদের বলে দাবি করেন।
বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করে ও তদন্তে উঠে আসে যে ওই ব্যক্তির ঠিকানা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতে লোড়পুর গ্রামে। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলা স্কুল সার্ভিস কমিশনের SLST পরীক্ষাকে সন্ধিহান ও কলুষিত করতে এবং সাধারণ মানুষ ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশাসন – সরকারি পরীক্ষা ব্যবস্থাকে সন্দেহজনক করে তোলার অপচেষ্টা করে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকলকে আবেদন করা হচ্ছে যে, এইরকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করবেন না ও মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন, যা আপনাকে আইনত ব্যবস্থার সম্মুখীন করতে পারে।
কী কারণে ফেসবুকে যুবক এই ধরনের পোস্ট করেছে, তা খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। তবে এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “ধৃতকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভুয়ো পোস্ট করার জন্য, বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” ধৃতের বিজেপি যোগ পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চরম তরজা।
এবিষয়ে আরামবাগ বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সেক্রেটারি মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “বিজেপির সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। লোকাল নেতৃত্বের থেকেও খবর নিয়েছি। এই পোস্টকে সমর্থন করিনা। বিজেপি কর্মী করে দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত থাকতে পারে।”
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি কর্মীই তো গ্রেফতার হল। ফেক ফেসবুক পোস্ট করে। ওরা সবাই ফেক। উদ্দেশ্য় বাংলার ছেলেদের চাকরি না পেতে দেওয়া।”
