Ghatal: দেবের সামনেই তুমুল লাঠালাঠি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর, ঝরল রক্ত, হাসপাতালে ভর্তি একাধিক কর্মী
Ghatal: শাসক দলের এই ছবি নতুন করে হাতিয়ার তুলে দিয়েছে বিরোধীদের হাতে। বিজেপি বলছে, সবটাই দলের অন্দরের ভাগ-বাটোয়ারার ব্যাপার।
ঘাটাল: কখনও আড়ালে, কখনও প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে চর্চা হয়েছে ঘাটালে। তবে রবিবার যে ছবি দেখা গেল, তা ভয়ঙ্কর। শাসক দলের দুই গোষ্ঠী হাতে লাঠি নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন একে অপরের দিকে! স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে গ্যালারি সর্বত্র চেঁচামেচি, মারপিঠ! ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
রবিবার দুপুরে ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর খণ্ডযুদ্ধ দেখা গেল। দেব ও শঙ্কর দলুইয়ের অনুগামীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বলেই সূত্রের খবর। ঘাটালে জনপ্রিয় শিশুমেলায় রবিবার উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ দেব। সেখানেই এই সংঘর্ষের ছবি দেখা যায়। রীতিমতো রক্তারক্তি অবস্থা হয় এদিন।
সাংসদ দেব ও প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর অনুগামীদের দ্বন্দ্বের কথা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগে একটি অডিয়ো ক্লিপ নিয়েও বিতর্ক বাড়ে। যদিও দেব পরে বলেছিলেন যে শঙ্কর দোলুই তাঁর রাজনৈতিক গুরু। তবে দ্বন্দ্বের বিষয়টি জিইয়ে রয়েছে ঘাটালের রাজনীতিতে। আর আজ সেটাই চরম আকার নেয়।
এই খবরটিও পড়ুন
ঘাটালে প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে শিশুমেলা। এই মেলার জনপ্রিয়তা প্রবল। কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, দেব ও শঙ্কর দোলুইয়ের মধ্যে কার হাতে মেলার রাশ থাকবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে। আজ সেই মেলা নিয়ে একটি বৈঠক ছিল ঘাটালে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেব, ছিলেন শঙ্কর দোলুই। সেখানে ঠিক হয়, মেলার রাশ উভয়ের হাতেই থাকবে। সেই মিটিং-এর মধ্যেই আচমকা হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এরপর রক্তারক্তি পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাংসদের সামনে এভাবে মারপিটের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “নিজেরাই একে অপরকে মারছে। আসলে সবটাই দলের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারার ব্যাপার।” তবে তৃণমূল দাবি করছে, এটা ছোটখাটো ব্যাপার, বড় করে দেখানো হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, “এটা বড় কোনও ব্যাপার বলে আমি মনে করি না। এটা কোনও গোষ্ঠীর ব্যাপার নয়, হতে পারে কোনও ছোটখাটো ব্যাপার।” এই প্রসঙ্গে শঙ্কর দোলুই বলেন, “মেলা নিয়ে ঐক্য বজায় আছে। কাউকে বাদ দিয়ে মেলা করার কোনও ব্যাপার নেই।”