Barasat: ঘরে স্বামীর মৃতদেহ, ভুলেই গেছেন বৃদ্ধা স্ত্রী, তারপর…
Barasat: ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত টাকি রোডের পঞ্চতন্ত্র হাউসিং কমপ্লেক্সের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত বৃদ্ধার নাম সুনীল চক্রবর্তী (৭৩)। আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। ২০২০ সালে তাদের একমাত্র পুত্রের মৃত্যুর পরেই থেকেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
বারাসত: স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিছুতেই তা মনে করতে পারছেন না বৃদ্ধা স্ত্রী। এ দিকে, একই ফ্ল্যাটে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের মৃতদেহ। পড়ে দুর্গন্ধ বেরতেই প্রতিবেশীরা এলেন। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশ। তাঁরাই এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত বৃদ্ধার নাম সুনীল চক্রবর্তী (৭৩)।
ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত টাকি রোডের পঞ্চতন্ত্র হাউসিং কমপ্লেক্সের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত বৃদ্ধার নাম সুনীল চক্রবর্তী (৭৩)। আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। ২০২০ সালে তাদের একমাত্র পুত্রের মৃত্যুর পরেই থেকেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
বিগত কয়েকদিন ধরেই সুনীল চক্রবর্তী সহ তার স্ত্রীকে দেখা যাচ্ছিল না আবাসনে। সেই নিয়ে আলোচনা চলছিল। এরপর রবিবার তাঁদের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরতেই প্রতিবেশীরা বারাসত থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে সেখান থেকে বৃদ্ধের পচা গলা দেহ সহ তার স্ত্রীকে সজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বারাসত থানার পুলিশ ওই মৃতদেহটিকে বারাসত মেডিকেল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের অন্য আত্মীয়দের খুঁজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে মৃতের স্ত্রীর। প্রতিবেশী স্নেহাশিস দাস বলেন, “ওঁদের আত্মীয় কে কোথায় থাকে জানি না। স্বামী-স্ত্রী দু’জনই মানসিক ভারসাম্যহীন। ২০২০ সালে একমাত্র ছেলে মারা যায়। তারপর থেকে অবস্থা আরও খারাপ হয়। ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াতেন। এরপর ওই বিল্ডিংয় থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সেটা শুঁকেই অনুমান করে আমরা থানায় খবর দিই।”