TMC: মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে স্থান হল না, ‘অভিমানে’ দলের গ্রুপ ছাড়লেন তৃণমূল নেতা

TMC: বিষয়টি আরও জলঘোলা হওয়ার কারণ খোদ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। ফলত জল্পনা বেড়েছে।

TMC: মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে স্থান হল না, 'অভিমানে' দলের গ্রুপ ছাড়লেন তৃণমূল নেতা
দল ছাড়লেন তৃণমূল নেতা (গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 1:06 PM

দাসপুর: এবার আর বিজেপি নয়, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক শাসক দলের অন্দরে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেদিনীপুরে জনসভা শেষ করে জেলা ছাড়ার পরই শাসক দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। বিষয়টি আরও জলঘোলা হওয়ার কারণ খোদ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। ফলত জল্পনা বেড়েছে।

বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে কর্মী সম্মেলন করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সম্মেলন থেকে দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দেন তিনি। সকলকে গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কাজে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই কর্মী সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই জেলার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হন বলে খবর। আর এতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।

বস্তুত, আগেই রাজ্য তৃণমূলের তরফে সাংগঠনিক ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়। একটি মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা এবং অপরটি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা। সাংগঠনিক জেলা ভাগের পর ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হয় দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা দাসপুরের তৃণমূল নেতা আশিস হুদাইতকে এবং মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয় সুজয় হাজরাকে। সূত্রের খবর, বুধবার মেদিনীপুরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চে তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতৃত্বরা জায়গা পেলেও, সেখানে স্থান পাননি খোদ দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরা। এমনকী নেত্রীর মুখে একবারও জেলা সভাপতিদের নামও উচ্চারণ হয়নি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত কর্মী সম্মেলনের মূল মঞ্চে স্থান না পেয়ে পাশেই থেকেই নেত্রীর বক্তব্য শোনেন। আর এতেই সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার বেশকিছু নেতার উপর ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। এর জেরেই হয়ত দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে থাকতে পারেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও, এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস জানান, ‘দলের ভালর জন্য। দল যেমন ভাল মনে করেছে তেমনটাই করেছে। তাতে আমার কিছু বলার নেই।’ আর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘বহু গ্রুপে থাকার ফলে অনেক ম্যাসেজ আসে তাতে সমস্যা হয়। আর দলের মূল যে গ্রুপ তাতে আমি তো রয়েছি।’