Burdwan: রাতারাতি বিবেকান্দের মূর্তি সরিয়ে মাথা তুলেছিল বিরিয়ানির দোকান, বিতর্কের মধ্যেই তিনতলা বাড়িটা ভেঙেই দিল পুরসভা
Burdwan: হঠাৎ বিল্ডিং তৈরি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরপ্রধান পরেশ সরকার। তিনি বলেন, হঠাৎ রাস্তার ধার থেকে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি সরিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বিরিয়ানির দোকান। কোনওরকম প্ল্য়ান ছাড়াই রাতারাতি গজিয়ে উঠেছিল ঝা চকচকে ওই তিনতলা বিল্ডিং।

বর্ধমান: কয়েকদিন আগেও ওই জায়গায় ছিল বিবেকানন্দের মূর্তি। কিন্তু রাতারাতি বসে গেল বিরায়ানির হাড়ি। অভিযোগ, কোনও কাগজ ছাড়াই সরকারি জায়গায় হয়ে গেল তিনতলা বিল্ডিং। তারমধ্যে দু’টি তলা বিরিয়ানির দোকান। তার মাথায় ক্লাব। অভিযোগ, বারবার স্থানীয় পুরসভার তরফ থেকে নোটিস পাঠানো হলেও তাতে কোনওরকম পাত্তাই দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কঠোর হল পুরসভা। গোটা তিনতলা বাড়িই বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল।
হঠাৎ বিল্ডিং তৈরি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরপ্রধান পরেশ সরকার। তিনি বলেন, হঠাৎ রাস্তার ধার থেকে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি সরিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বিরিয়ানির দোকান। কোনওরকম প্ল্য়ান ছাড়াই রাতারাতি গজিয়ে উঠেছিল ঝা চকচকে ওই তিনতলা বিল্ডিং। সেই বিল্ডিংই ভেঙে ফেলেছে বর্ধমান পৌরসভা।
পুরো ঘটনা বর্ধমান শহরের পারবীরহাটার কাছে। বর্ধমান তেলিপুকুর রোডের ধারে ছিল নেতাজি সংঘের একতলা ক্লাবঘর। ওই ক্লাবের বিরুদ্ধেই ওই তিনতলা বাড়ি তৈরি অভিযোগ রয়েছে। ওই ক্লাবের সামনেই ছিল বিবেকানন্দের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। অভিযোগ, মূর্তি সরিয়ে সেই জায়গায় গজিয়ে উঠেছিল ওই বেআইনি তিনতলা বিল্ডিং। পুরসভার আইন অফিসার তন্ময় তা বলছেন, পুরো কাজটাই বেআইনি। বাড়ি ভাঙার জন্য ক্লাবকে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল বর্ধমান পৌরসভার তরফে। জল গড়ায় হাইকোর্টে। গিয়েছিল ক্লাবের লোকজন। কিন্তু বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। এরইমধ্যে বাড়ি ভাঙার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয় পুরসভার তরফে। এবার টাইম ফুরোতেই ভেঙে দেওয়া হল গোটা বাড়ি। বাড়ি ভাঙার কাজ দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় এলাকায়।
