বর্ধমান: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়লেই গনগনে রোদে অস্থির অবস্থা। এর মধ্যে যদি জল না মেলে? এমনই পরিস্থিতির শিকার পূর্ব বর্ধমানের মানুষ। কল আছে, জল নেই! তীব্র পানীয় জলের কষ্টে ভুগছেন বাসিন্দারা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের, ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেণ্ডা গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন, তবুও হেলদোল নেই প্রশাসনের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি সজল ধারা প্রকল্পের পাইপ লাইনের সংযোগ থাকলেও দীর্ঘ এক বছর ধরে বাড়িতে জল আসে না। সরকারি নলকূপে আয়রন বেশি থাকার কারণে জলপান করার উপযোগী নয় বলে জানান বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ অন্যের বাড়ি থেকে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে। বেশিদিন এভাবে চলতে থাকলে অপমানিতও হতে হচ্ছে তাঁদের। বর্তমানে চলছে তীব্র দাবদহ। তাপমাত্রা পারদ ৪০ ডিগ্রি আশপাশে। তার ওপরে চলছে রমজান মাস। এই পরিস্থিতিতে চরম পানীয় জল কষ্টে ভুগছেন ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামের বাসিন্দারা।
এই অবস্থায় রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে হবে। বেলেণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা জিয়ার মণ্ডল বলেন, বছর খানেক আগে পানীয় জলের জন্য পাইপ লাইন করা হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি পাইপও বসানো হয়। কিন্তু জল আসছে না। বার বার স্থানীয় প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি।
রোজার মাস। আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। বাসিন্দা রঞ্জিত অধিকারী বলেন,গ্রামের নলকূপের জল পান করা যায় না।জলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় মুখে ওই জল দেওয়া যায় না বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে বেলেন্ডা গ্রামের বাসিন্দা তথা ভাতার পঞ্চায়েতের সদস্য সাহাদ আলি শেখ বলেন, বিষয়টি প্রধান বিডিও ও পিএএচই (PHE) দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই জল সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে। জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরকম তো হওয়ার কথা নয়।’