Fraud Case: ঋণ দেওয়ার টোপ দেখিয়ে গরিব মহিলাদের লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও! চাঞ্চল্য কাটোয়ায়

Kousik Dutta | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Nov 04, 2023 | 11:52 PM

কাটোয়ার শহরের বেলতলায় অনুপ মণ্ডলের বাড়িতে ১ নভেম্বর তিনজন মহিলা 'আশার আলো ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প' নাম দিয়ে একটি সংস্থার অফিস চালু করে। এলাকার মহিলাদের আর্থিকভাবে সবল করতে সহজ কিস্তিতে ঋণ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ফর্ম বিলি করা হয়। ঋণ নিতে গেলে মহিলাদের ২৫৫০ টাকা অগ্রিম জমা করতে বলে। এই টাকা জমা করলে ৫০ হাজার টাকার ঋণ মেলার আশ্বাস দেওয়া হয়। এই শর্তে এলাকার শতাধিক মহিলা ২৫৫০ টাকা করে অফিসে জমা দেয়।

Fraud Case: ঋণ দেওয়ার টোপ দেখিয়ে গরিব মহিলাদের লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও! চাঞ্চল্য কাটোয়ায়
ঋণ না পেয়ে প্রতারিত মহিলাদের মাথায় হাত
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কাটোয়া: ঋণ দেওয়ার টোপ দিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে অভিযোগ উঠল একটি ঋণপ্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। সংস্থার প্রতিনিধিদের না পেয়ে প্রতারিতরা বাড়ির মালিককে আটক করে রাখে। প্রতারিতদের দাবি বাড়ির মালিকের সামনে টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল সেজন্য বাড়ির মালিককে টাকা ফেরত দিতে হবে। কাটোয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বেলতলার এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

কাটোয়ার শহরের বেলতলায় অনুপ মণ্ডলের বাড়িতে ১ নভেম্বর তিনজন মহিলা ‘আশার আলো ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প’ নাম দিয়ে একটি সংস্থার অফিস চালু করে। এলাকার মহিলাদের আর্থিকভাবে সবল করতে সহজ কিস্তিতে ঋণ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ফর্ম বিলি করা হয়। ঋণ নিতে গেলে মহিলাদের ২৫৫০ টাকা অগ্রিম জমা করতে বলে। এই টাকা জমা করলে ৫০ হাজার টাকার ঋণ মেলার আশ্বাস দেওয়া হয়। এই শর্তে এলাকার শতাধিক মহিলা ২৫৫০ টাকা করে অফিসে জমা দেয়। সংস্থার কর্মীরা বলেছিল টাকা জমা দিলে সন্ধ্যের মধ্যে সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা করে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। কিন্তু সন্ধ্যেয় বেলতলায় এসে মহিলা দেখেন ঋণপ্রদানকারী সংস্থার কার্যালয় বন্ধ করে কর্মীরা পালিয়েছে। সংস্থার কর্মীদের মোবাইলও সুইচড অফ পাওয়া যায়।

গা ঢাকা দেওয়া ভুয়ো ঋণ সংস্থার কর্মীদের নাগালে না পেয়ে বাড়ির মালিক অনুপ মণ্ডলকে প্রতারিত মহিলারা আটকে রেখে ক্ষোভ দেখায় এবং জমা দেওয়া টাকা দাবি করতে থাকেন। প্রতারিতরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এ নিয়ে এক প্রতারিত মহিলা বলেছেন, “আমাদের আড়াই হাজার টাকা করে জমা দিতে বলে। ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেছিল। আমরা টাকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঋণের কোনও টাকা আসেনি। যে নম্বর দিয়েছিল, সেটাতে ফোন লাগছে না। সন্ধ্যার মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে বলেছিল। সেটাই আমরা দেখতে এসেছি। এখানে এসে দেখছি অফিসে তালা বন্ধ। আমাদের মতো অনেকেই এসেছে দেখছি।” ঘটনার বিষয়ে বাড়ির মালিক বলেছেন, “তিন দিন হল আমার বাড়িতে ভাড়া এসেছিল। আমাকে বলেছিল বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে। ১০ তারিখে বেতন পাবে জানিয়েছিল। তখন ভাড়ার অগ্রিম জমা দেওয়ার কথা বলেছিল। এরা তো এসে বলছে ওরা টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমি এই বাড়ির মালিক। আমি এ সবের বিষয়ে কিছুই জানি না। তিন জন মেয়ে ভাড়া নিয়েছিল।”

Next Article