RG Kar Case: সন্দীপ গ্রেফতার হতেই অভীকের ‘প্রতিপত্তি’-তে কোপ, ঢুকতে পারবেন না বর্ধমান মেডিক্যালে

RG Kar Case: আরজি করের সেমিনার হল থেকে 'তিলোত্তমা'-র দেহ উদ্ধারের পর কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, দেহ উদ্ধারের সময় লাল জামা পরে একজন সেমিনার হলে রয়েছেন। তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। জানা যায়, লাল জামা পরে সেমিনার হলে ছিলেন অভীক দে। কিন্তু, তিনি কেন ওইদিন ওখানে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

RG Kar Case: সন্দীপ গ্রেফতার হতেই অভীকের 'প্রতিপত্তি'-তে কোপ, ঢুকতে পারবেন না বর্ধমান মেডিক্যালে
জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2024 | 1:32 AM

বর্ধমান: ‘তিলোত্তমা’-র মৃতদেহ উদ্ধারের দিন আরজি করের সেমিনার হলে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অথচ আরজি করের চিকিৎসক কিংবা পড়ুয়া তিনি নন। SSKM হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার তিনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও তাঁর ‘দাদাগিরি’ চলে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরই সেই জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে-কে বরখাস্ত করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আবার সোমবারই অভীক দেকে নিয়ে পড়ুয়াদের দাবিতে সিলমোহর দিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না এসএসকেএম-র এই জুনিয়র ডাক্তারকে।

আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধারের পর কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, দেহ উদ্ধারের সময় লাল জামা পরে একজন সেমিনার হলে রয়েছেন। তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। জানা যায়, লাল জামা পরে সেমিনার হলে ছিলেন অভীক দে। কিন্তু, তিনি কেন ওইদিন ওখানে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

আরজি কর কাণ্ডের পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে অভীকের প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন চিকিৎসকদের একাংশ। অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের গেস্ট রুম নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে তিনি। এমনকি, চিকিৎসক বদলির ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা থাকত। মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় পাশ করানোর নামে টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল অভীক দের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। সোমবার দুপুর থেকে ম্যারাথন বৈঠক চলে কাউন্সিলের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের। ঘণ্টা ছয়েক টানা বৈঠকের পর আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নেয় কাউন্সিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে কোনওরকম ভাবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ঢুকতে পারবেন না।

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার সুহোত্র মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভীক দে-কে একদমই ঢোকানো যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হবে। আরও ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরাও যাতে কলেজে না ঢোকেন, সেটাও নিশ্চিত করা হবে। আন্দোলনকারী চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, একাধিক অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর সংগঠন থেকে অভীক দেকে বরখাস্ত করেছে TMCP। রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন। এই নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, “এতদিন ঘুমিয়ে ছিল। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করতেই টনক নড়ল।” সন্দীপ ঘোষের পর কি এবার অভীক দেকে গ্রেফতার করবে সিবিআই? এদিন এই প্রশ্নও ঘুরপাক খায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ। অধ্যক্ষ মৌসুমী মুখোপাধ্যায় বলেন, “বেশ কয়েকটি দাবি ছিল ছাত্রদের। সেই দাবি নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। অভীক দের কলেজে ঢোকার ক্ষেত্রে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি কলেজে ঢুকতে পারবেন না।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)