Ketugram: মন্ত্রীদের নিয়ে রাজা নামেন পথে, এই বিশেষ দিনে বাংলার এ গ্রামে চলে রাজতন্ত্র
Purba Burdwan: শোনা যায়, বহরান গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি। ১০ বছর পর পর গ্রামে জয়দুর্গা পুজোর সময় রাজা একেবারে রাজবেশে তাঁর রাজপাট দেখতে বের হন। মূলত, স্থানীয় দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের একজনকে রাজা সাজিয়ে নকল সৈন্যসামন্ত দিয়ে বের করা হয় রাস্তায়। গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ান সেই রাজা। শোনা যায়, বল্লাল সেনের আমল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।
কেতুগ্রাম: ১০ বছর পর পর পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বহরান গ্রামে একদিনের জন্য চলে রাজতন্ত্র। পথে নামেন রাজা। এদিন রাজার হুকুমই শেষ কথা। কেউ যদি তা অমান্য করেন, কঠোর শাস্তি তাঁর ভবিতব্য। সোমবার ছিল সেই দিন। এদিন রাজা তাঁর পেয়াদাদের নিয়ে নামলে রাস্তায়। ঘোড়ায় টানা ফিটন গাড়ি চেপে ঘুরলেন এলাকা। বইয়ের পাতায় যেমন রাজার দেখা মেলে, এ রাজা ঠিক তেমনই।
শোনা যায়, বহরান গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি। ১০ বছর পর পর গ্রামে জয়দুর্গা পুজোর সময় রাজা একেবারে রাজবেশে তাঁর রাজপাট দেখতে বের হন। মূলত, স্থানীয় দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের একজনকে রাজা সাজিয়ে নকল সৈন্যসামন্ত দিয়ে বের করা হয় রাস্তায়। গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ান সেই রাজা। শোনা যায়, বল্লাল সেনের আমল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।
এবারও ৮৫ বছর বয়সি অম্বিকাপ্রসাদ চট্টরাজ রাজা সাজেন। বছরের বাকি দিনগুলি যাঁর কাটে পৌরহিত্য করে। বৃদ্ধ অম্বিকাপ্রসাদ জানান, ১৫ বছর বয়স থেকে প্রতি ১০ বছর অন্তর তিনি এমন রাজা সাজেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ অম্বিকাপ্রসাদ এদিন দিব্য রাজবেশে, মুক্তোর মালা, মাথায় মুকুট পরে ঘুরলেন গ্রাম।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এই একটা দিন গ্রাম চালান রাজাই। তিনি যা বলবেন সেটাই শিরোধার্য। তাঁরা জানান, গ্রামে কেউ দোকান খুলতে দেরি করেছেন বা অন্য কোনও অপরাধ হয়েছে, তাঁকে জরিমানা করবেন রাজা। আর জরিমানাবাবদ যে টাকা উঠবে তা খরচ হবে পুজোর কাজেই।