Swasthya Sathi Card: একটা আঙুলের ছাপ, আর তাতেই হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা! প্রশ্নের মুখে ‘স্বাস্থ্য সাথী’
Swasthya Sathi Card: সালেয়া বিবি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর জামাই সংশ্লিষ্ট নার্সিং হোমে কর্মরত।
বর্ধমান : মানুষকে সাহায্য করতেই নতুন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হবেন, এমনটাই চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রকল্পের টাকা কারচুপি করছে একদল লোক। চিকিৎসা তো দূরের কথা, চিকিৎসার নাম করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বর্ধমানে প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ঘটনা। যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে, তাদের ভুল বুঝিয়ে এই কাজ করা হয়েছে দিনের পর দিন। এই ঘটনায় সালেয়া বিবি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাটোয়া থানার পুলিশ স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। কাটোয়ার গাফুলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে তাদেরকে বর্ধমানের একটি নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়ে আঙুলের ছাপ নেওয়া হত বলে অভিযোগ। কয়েকজন এজেন্ট এই কাজ করত বলে অভিযোগ উঠেছে। সেরকমই একজন এজেন্ট এই সালেয়া বিবি।
গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার একই অভিযোগ। তাঁদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়া হত। বলা হত, চেক আপ করানো হবে তাঁদের। তারপর তাঁরা নার্সিং হোমে গেলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হত। এ ভাবেই তাঁদের নামে ওই কার্ডে ভুয়ো চিকিৎসার বিল করা হত। নার্সিং হোমে স্বাস্থ্য সাথী খাতে যে টাকা আসত, সেই টাকা হাতিয়ে নিত ওই এজেন্টরা। গ্রামবাসীদের বোঝানো হত, ওই কার্ডে শুধু চিকিৎসাই নয়, টাকাও তোলা যায়। বলা হত, কার্ড পিছু প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই মতো কাউকে কাউকে ১০ হাজার টাকা দেওয়াও হত, কাউকে এখনও দেওয়া হয়নি। ২ হাজার টাকা করে নিত এজেন্টরা। প্রায় ৫০ জনের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি বিষয়টি পুলিশের নজরে আসায় তদন্ত শুরু হয়। এরপরই সালেয়া বিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সালেয়া বিবির দাবি, তিনি কোনও প্রতারণা করেননি। সবাই টাকার লোভে তাঁকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে দিত।
আরও পড়ুন : Mamata-Abhishek Meeting: কালীঘাটে একান্ত বৈঠক অভিষেক-মমতার, জটিলতা কাটাতেই আলোচনা?