Bardhaman: কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বন্দির
হাসপাতাল ও সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বন্দির নাম শ্রীকান্ত গড়াই (৪২)। তিনি হুগলির বাসিন্দা। একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি ছিলেন শ্রীকান্ত। আগে হুগলির সংশোধনাগারে থাকলেও, গত তিন বছর ধরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

বর্ধমান: চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। সেখানে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। যা ঘিরে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে আত্মহত্যা না খুন? জানা যাচ্ছে, বিগত এক বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার কোনও বন্দি মৃত্যু খবর আসছে। এর আগেও দু’বার গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আর এবারও সেই ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। ফলে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।
হাসপাতাল ও সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বন্দির নাম শ্রীকান্ত গড়াই (৪২)। তিনি হুগলির বাসিন্দা। একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি ছিলেন শ্রীকান্ত। আগে হুগলির সংশোধনাগারে থাকলেও, গত তিন বছর ধরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এরপর জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সংশোধনাগারের কনভিক্ট ওয়ার্ডের বাথরুমের জানালার সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় শ্রীকান্ত গড়াইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান অন্যান্য বন্দিরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষকে। চিকিৎসক এসে তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর বর্ধমান থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের পাশাপাশি সংশোধনাগার প্রশাসনও আলাদা তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে, গত এক বছরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে একাধিক বন্দির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
