শক্তিগড়: কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে গাঢ় হচ্ছে গরু পাচারে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের নাম। ঘটনার সাক্ষী লতিফের গাড়ি চালক নুর হাসানের বয়ানে এই লিঙ্ক আরও জোরাল হয়েছে। সূত্র বলছে, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী এই লতিফ। যা খতিয়ান মিলছে, তাতে অঙ্কের পরিমাণটা ২০০ কোটির কাছাকাছি।
লতিফের সম্পত্তি
বোলপুর রোডে নাজ মার্বেল গোডাউনের পিছনে বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। সুখবাজার চৌপাহাড়িতে পাঁচ একরের বেশি জায়গার ওপর হ্যাচারি, পোলট্রি ফার্ম। ইলামবাজার-দুবরাজপুর হাইওয়ের ওপর হিন্দুস্থান অটোমোবাইলস নামে গাড়ির বিশাল সার্ভিস সেন্টার। জয়দেব রোডের ওপর ১৫ বিঘা জমি। ইলামবাজার-দুবরাজপুর হাইওয়ের ওপর চালু না হওয়া পেট্রোল পাম্প। ইলামবাজার-দুবরাজপুর রোডের ওপর হিন্দুস্থান এন্টারপ্রাইস, মার্বেলের বড় ব্যবসা।
কে এই আব্দুল লতিফ? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১২-১৩ মধ্যে লতিফ ওরফে হীঙুরের উত্থান। গরুপাচারকাণ্ডে এনামুলের পরই দ্বিতীয় নাম লতিফের। ইলামবাজারে আব্দুলের বিলাসবহুল বাড়ি, অফিস। ওই অফিস থেকেই গরু পাচারের কালো কারবার বোলপুরে নাজ মার্বেলের দোকান আব্দুলের। নিজেকে পাথরের ব্যবসায়ী বলেও দাবি করতেন আব্দুল। এনামুল গ্রেফতারের পরই গা ঢাকা দেন লতিফ। বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন লতিফ।
গরু পাচার মামলায় এনামুল হকের পরেই ছিল আব্দুল লতিফের নাম। তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সিবিআই-এর চোখে ফেরার ছিলেন লতিফ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। শেষ পাওয়া খবর বলছে, গত কয়েক মাস ধরে ইলামবাজারে নিজের বাড়িতেই ছিলেন আব্দুল। অথচ সেই খবর পেলই না সিবিআই? কেনই বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও লতিফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল না? প্রশ্ন থাকছেই।