Raju Jha Murder Case: পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বেরিয়ে হঠাও উধাও দুই সাক্ষী ব্রতীন-নুর! মাফিয়া খুনে ক্রমেই জোরাল রহস্য

Raju Jha Murder Case: আচমকাই মাফিয়া খুনের ঘটনায় অন্যতম দুই সাক্ষী রাজু ঝা ঘনিষ্ঠ ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসানের হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নতুন করে রহস্য তৈরি করেছে।

Raju Jha Murder Case: পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বেরিয়ে হঠাও উধাও দুই সাক্ষী ব্রতীন-নুর! মাফিয়া খুনে ক্রমেই জোরাল রহস্য
ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও নুর হোসেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2023 | 10:23 AM

দুর্গাপুর: মাফিয়া খুনের ঘটনায় ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে সময় এগোচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই উধাও এই খুনের ঘটনায় অন্যতম দুই সাক্ষী রাজু ঝা ঘনিষ্ঠ ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসান হঠাৎ করেই উধাও। তা নিয়ে নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের দফতর থেকে দুর্গাপুরে বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিল ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। একই গাড়িতে সঙ্গে ছিল আবদুল লতিফের গাড়ির চালক সেখ নুর হোসেন। এখনও পর্যন্ত ব্রতীন ও নুরের হদিশ পাওয়া যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের থেকে দূরে থাকতে পুলিশের নির্দেশে কী এই কাজ, প্রশ্ন উঠছে সেটারও। নাকি তাঁদের নিরাপত্তার জন্য রাজু ঝা-র সহযোগীরা অন্য গোপন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন? আচমকাই মাফিয়া খুনের ঘটনায় অন্যতম দুই সাক্ষী রাজু ঝা ঘনিষ্ঠ ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসানের হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নতুন করে রহস্য তৈরি করেছে।

সোমবার দুপুর ৩ টের সময় ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে পূর্ব বর্ধমান পুলিশ সুপারের দফতরে ঢোকানো হয়। আর বিকাল ৪ টে নাগাদ ঢোকানো হয় লতিফের গাড়ির চালক সেখ নুর হোসেনকে। তারপর দীর্ঘক্ষণ জেরা চলে। সূত্রের খবর, প্রথমে দু’জনকে আলাদা করে জেরা করা হয়। শেষে রাত ৮টা৫০ মিনিটে ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও নুর হোসেন পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বেরিয়ে যান।

জানা যাচ্ছে, ব্রতীনের গাড়িতেই তাঁরা রওনা দেন। গাড়িতে চালকের পাশে বসেছিলেন ব্রতীনের ভাইয়ারা ভাই রঘুনাথ চক্রবর্তী এবং পিছনের সিটে বাঁ দিকে ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও তার ডান দিকে ছিলেন শেখ নুর হোসেন।

কিন্তু পরে খবর নিয়ে দেখা যায়, ব্রতীন কিংবা নুর কেউই বাড়িতে পৌঁছননি। তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, তা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে। জেলা পুলিশের দফতরে ঢোকার সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রতীন দাবি করেছিলেন, তিনি আব্দুল লতিফকে চেনেন না। কেবল রাজুরই পরিচিত তিনি। তবে আব্দুল লতিফ ও রাজু ঝা মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায় রাজু-লতিফের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। ব্রতীন দাবি করেছিলেন, গুলি চালনার সময়ে তিনি গাড়ির ভিতর ছিলেন না। সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগল কীভাবে? এখনও পর্যন্ত অধরা সূত্র। কিন্তু রহস্য হচ্ছে ক্রমেই জোরাল।