Teacher Crisis: লাটে উঠবে পড়াশোনা? চারজন শিক্ষক, চারজনের কাঁধেই BLO-র দায়িত্ব!
SIR in Bengal: শিক্ষকরা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও খুদে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। এদিন এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'আমরা নাতনি এই স্কুলেই পড়ে। শুনলাম, চারজনই নাকি SIR-এর কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। খুব চিন্তিত, স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কীভাবে ওর পড়াশোনা ঠিক মতো চলবে?

কালনা: একে শিক্ষক নিয়ে হাহাকার। তার মধ্যে যে ক’জন রয়েছেন, তাঁদের নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে টানাটানি। SIR নাকি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ? মনে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন চিহ্ন। ঘটনা কালনার পাঁচরখী বাণী বিদ্যামন্দির প্রাইমারি স্কুলের। সেখানে প্রধান শিক্ষক-সহ মোট চার জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। পড়ুয়ার সংখ্য়া খুব একটা নয়। কিন্তু সেই স্কুলের চারজন শিক্ষককেই বিএলও-র কাজ সপে দিল কমিশন।
রাজ্যে SIR প্রক্রিয়ার ঘোষণার পর থেকে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল একাংশের বিএলও-দের মধ্য়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, স্কুল সামলে কীভাবে হবে ভোটার তালিকার পরিমার্জনের কাজ হবে? পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও ভাবে সংশয় তৈরি হবে না তো? এবার সেই প্রশ্নই যেন তুলে দিলেন কালনার সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এদিন ওই স্কুলের শিক্ষক বরুণ কুমার মিত্র বলেন, ‘স্কুলে আমরা মাত্র চারজন। তাই নিজেদের মধ্য়েই আলোচনা করে নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে প্রথম দফায় সকালে একটু SIR-এর কাজ করব। তারপর স্কুল করে বিকাল ৫টা থেকে আবার SIR-এর কাজ শুরু করব। তাতে যদি রাত ৯টা অবধি কাজ করতে হয়, তা-ই করব। উদ্দেশ্য একটাই কোনও ভাবে যেন শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি না হয়। বিষয়টা সত্যি চাপের। এই নিয়ে আমরা কমিশনের কাছে আলাদা করে কোনও আবেদন জানাইনি আর মনেও হয় না তা জানিয়ে কোনও কাজ হবে।’
শিক্ষকরা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও খুদে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। এদিন এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা নাতনি এই স্কুলেই পড়ে। শুনলাম, চারজনই নাকি SIR-এর কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। খুব চিন্তিত, স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কীভাবে ওর পড়াশোনা ঠিক মতো চলবে?’
উল্লেখ্য শুধুই পাঁচরখী বাণী বিদ্যামন্দির নয়, শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে আরও একটি স্কুলে। কালনার দু’নম্বর ব্লকের আনোখা কুলেপারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বলতে মাত্র দু’জন। পড়ুয়ার সংখ্যা রয়েছেন ৫৪ জন। রাজ্যে ভোটার তালিকার পরিমার্জনের কাজ শুরু হতেই এই দু’জন শিক্ষকের কাঁধে সপে দেওয়া হয়েছে BLO-র দায়িত্ব। যা নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। কাজ সামলে কীভাবে চলবে স্কুল, মাথায় হাত শিক্ষকদের। চিন্তিত অভিভাবকরাও।
