মমতার সভার সমর্থনে কাঁথিতে মিছিল, নেই অধিকারীরা

"দলের কোনও খেলোয়াড় যদি মোহনবাগান ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে যায় তা হলে কি মোহনবাগান দলটা উঠে যাবে?"

মমতার সভার সমর্থনে কাঁথিতে মিছিল, নেই অধিকারীরা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Dec 05, 2020 | 9:22 AM

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজনীতিতে ‘অসম্ভব’ শব্দের কোনও জায়গাই নেই। ‘হয় না’ বলে কিছুই হয় না। তা না হলে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রচারে মিছিল। তাও আবার ‘অধিকারী গড়ে’। অথচ সেখানে উপস্থিত নেই একজন অধিকারীও। এও সম্ভব! আগামী ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রচারে শুক্রবার কাঁথিতে মিছিল করে তৃণমূল। অথচ সেখানে অধিকারী পরিবারের কারও উপস্থিতিই নজরে আসেনি। যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গত কয়েকদিনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের সম্পর্ক যে মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে এ ধরনের ঘটনা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।

মুখ্যমন্ত্রীর সোমবারের সভার প্রচার ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে শুক্রবার কাঁথির আউটডোর মোড় থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলের শেষে সভাও করে। সেখানে শুভেন্দুর উপস্থিতির প্রত্যাশা এই মুহূর্তে স্বাভাবিক না হলেও কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী কিংবা প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।

আরও পড়ুন: ‘আমি মরে গেলে তাঁরা জায়গা নেবে’, মমতার কথায় বক্সীর চোখে জল

এ প্রসঙ্গে রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, আকাশে সূর্যের মতো তৃণমূলের দলনেত্রী। তিনি আলো দিয়েছেন বলেই তো কেউ এত বড় হয়েছেন। আবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমানের বক্তব্য, “দিদি আমাদের বিপদে রক্ষা করেছেন। তাই আমরা শুধু দিদিরই অনুগামী।”

কাঁথির দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলীয় মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যও। দেবাংশুর প্রশ্ন, “দলের কোনও খেলোয়াড় যদি মোহনবাগান ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে যায় তা হলে কি মোহনবাগান দলটা উঠে যাবে? সংগ্রামের নেত্রী তিনি। নন্দীগ্রাম, নেতাই, সিঙ্গুর সর্বত্র তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোয় আলোকিত হয়ে অনেকে নিজেকে খুব বড় মনে করছেন। তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া বাংলায় যে দাঁড়াবে সে ভেসে যাবে।”

আরও পড়ুন: ‘অধিকারী এফেক্ট’? পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে বদলি করল নবান্ন!

যদিও এসব কথাকে খুব একটা আমল দিতে নারাজ ‘দাদার অনুগামী’ বলেই পরিচিত জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা। কনিষ্কর কটাক্ষ, “জল ঘোলা করলে সব মাছই মরে যাবে। নাম করতে চাইছি না। ওই বাচ্চা ছেলেটা শুভেন্দুর জন্মস্থানে এসে কী বলবে সেটাই বুঝতে পারেনি। কোনও কথা বলার আগে ইতিহাসটা জানা দরকার।” সূত্রের খবর, রবিবারই হয়তো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট করবেন নিজের অবস্থান।