Awas: শুভেন্দুর এলাকার লোক আবাসের ঘর পাননি, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতেই যা হল…

Awas: দেবশ্রী ঘোষ বলেন, "আমার শ্বশুর মশাইয়ের ৪০-৫০ বছরের বাড়ি এটি যা ভগ্নপ্রায়। স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনওরকম কোনও সাহায্য পায়নি দীর্ঘদিন।"

Awas: শুভেন্দুর এলাকার লোক আবাসের ঘর পাননি, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতেই যা হল...
আবাসের ঘর না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2024 | 12:49 PM

পাঁশকুড়া: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর গড়ে পঞ্চায়েতে বঞ্চনার অভিযোগ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার। আবাসের বাড়ি পেতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফোন। ফোনের পরই পদক্ষেপ। তড়িঘড়ি আবাসের বাড়ি পেলেন পাঁশকুড়ার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা।

ভাঙাচোরা বাড়িতেই বহুদিন ধরে দিন গুজরান চলছিল অরুণ বর, প্রদীপ বর ও পঙ্কজ বর। প্রদীপ বর স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যা দেবশ্রী ঘোষ বরের স্বামী। দেবশ্রী ঘোষ বলেন, “আমার শ্বশুর মশাইয়ের ৪০-৫০ বছরের বাড়ি এটি যা ভগ্নপ্রায়। স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনওরকম কোনও সাহায্য পায়নি দীর্ঘদিন।” তিনি জানান, ২০১২ সালে  আবাসের তালিকায় তাঁর শ্বশুরের নাম এসেছিল। অভিযোগ, তখন নাম কেটে দিয়েছিল তৃণমূলের স্থানীয়ই পঞ্চায়েত।

তারপর থেকে এতদিন হয়ে গিয়েছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন বলেই অভিযোগ। এবারও আবাসের তালিকায় নাম না থাকায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে আবাস যোজনার বাড়ির জন্য আবেদন জানান। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো সবার মুখ্যমন্ত্রী।”

এক বাড়িতেই তিন ভাই কিন্তু আলাদা ভাবেই থাকেন। বাবা-মাও থাকেন তাঁদের সঙ্গেই।  মাটির দোতলা বাড়িতে মোট ১৩ জনের বাস। কোথাও কোথাও ফাটল ধরেছে বাড়িতে। এই পরিবার আগে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করত না, পরে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করতে শুরু করেন তাঁরা। মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে ফোন করাতেই কাজ হাসিল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ১৩০৯ জনের নাম, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঁশকুড়া ব্লকে এসেছে ।

এলাকার বিজেপি নেতা অলক দোলই বলেন, “তৃণমূলের অঞ্চল যখন ছিল, সাধারণ মানুষ যাদের প্রকৃত বাড়ি দরকার তারা বাড়ি দেয়নি। তৃণমূলের লোককে বেছে বেছে দিয়েছে। কারণ তারা অতি সহজেই কাটমানি নিতে পারবে বলে।”

অন্যদিকে, এলাকার তৃণমূল নেতা গুরুপদ মুন্সী বলেন , “মানুষের সুবিধার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ প্রকল্পটা চালু করেন। আর সেই প্রকল্পে আবেদন জানিয়ে বাড়ি পেয়েছে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। আমরা যারা তৃণমূল করি আমরা গর্বিত এরকম একজন মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার জন্য। যিনি রঙ না দেখে উন্নয়নটা সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে পারে।”