Dilip Ghosh: ‘কখন এলেন?’- ‘এই তো ৩ দিন ধরে বসে আছি’, পাশাপাশি বসে আর কী কথা হল দিলীপ-মমতার!
Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়াটাই ছিল একটা বড় চমক। তবে শুধুমাত্র জগন্নাথ দর্শন করেই বেরলেন না তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে কথাও বললেন বেশ কিছুক্ষণ। কথোপকথন চলে তাঁদের মধ্যে।

দিঘা: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গেলেন, ঘুরে দেখলেন। স্ত্রীকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেও বসলেন দিলীপ ঘোষ। পদের বিচারে তিনি প্রাক্তন, হারিয়েছেন সাংসদ পদও। তবু রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ হিসেবে আজও বিবেচিত হন তিনি। তৃণমূল তথা রাজ্য় সরকারের সমালোচনা করতে তাঁর মতো বিরোধী নেতার জুড়ি মেলা ভার। তাই আজ যে ছবি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দেখা গেল, তা রাজ্য রাজনীতিতে ‘বিরল’, এ কথা বলাই যায়।
এদিন মন্দিরে প্রবেশ করার সময় তাঁর পাশে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন কুণাল ঘোষও। স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে নিয়ে দিলীপ সোজা চলে গেলেন মন্দিরের ভিতর। দর্শন করলেন জগন্নাথ মূর্তি। সেখানেই শেষ নয়, মন্দির চত্বরের একটি ঘরে দিলীপকে ডেকে নিয়ে গেলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোফায় পাশাপাশি বসলেন মমতা, দিলীপ, রিঙ্কু। খোশ মেজাজে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হল তাঁদের মধ্যে।
ঘরে ঢুকেই দিলীপ প্রশ্ন করলেন, “আপনি কখন এলেন?” মমতা বললেন, “আর বলবেন না, তিন দিন ধরে বসে আছি।” এত বড় জায়গা নিয়ে মন্দির তৈরি হয়েছে দেখে খুশি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “বড় হয়েছে মন্দিরটা। দিনে দিনে তো লোক বাড়বে। আমাদের দেশের মন্দিরগুলো এত ছোট হয়ে যাচ্ছে!”
কীভাবে সব সামলাচ্ছেন, সেই গল্প পাশে বসে শোনালেন মমতা। মঙ্গলবার গরমের মধ্যে যজ্ঞের সময় আহুতি দিলেন কীভাবে, সে কথাও শোনালেন দিলীপ ঘোষকে। দিলীপ আবার উত্তরে বললেন, “নাচিন্দা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখানে হয়নি। আমরা তো ঠাণ্ডায় বসে আছি। দেখলাম আপনারা কীভাবে মাথা ঢেকে গরমে বসে আছেন।”
ঘরের মধ্যে প্রশ্ন ভেসে এল, “আপনি লাইভ দেখেছেন নাকি?” দিলীপ ঘোষের একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর, “হ্যাঁ হ্যাঁ, দেখব না কেন! দেখছিলাম তো।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজেই শোনা গেল সেই কথোপকথন।
প্রায় প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা ইস্যুতে সরকারকে তুলোধনা করেন দিলীপ ঘোষ। ২৪ ঘণ্টা আগেও একটি সভা থেকে এই মন্দির নিয়েই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। আর বুধবার সেই মন্দিরে বসেই মমতার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন শুনল রাজ্যবাসী। প্রায় ঘণ্টাখানেক মন্দিরে কাটিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।





