Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ভাড়া নেওয়া গেস্ট হাউজ়ে ‘পুলিশি অভিযান’? কী হচ্ছে কোলাঘাটে
Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অভিযোগ, সেখানকার কেয়ারটেকার তাঁকে ফোন করে প্রথম এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'কেয়ার টেকার বলল, স্যর কিছু সিভিল ড্রেসে আইপ্যাকের ছেলে ও কোলাঘাটের সিআই ও ওসি কাউকে না বলে এখানে ঢুকেছে।'
কোলাঘাট: কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া নেওয়া গেস্ট হাউজ়ে আচমকা পুলিশি অভিযানের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ তুলেই এবার কোলাঘাট থানায় ছুটলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, অনেক লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। যেহেতু কাঁথি ও কলকাতা দু’টি জায়গাই অনেকটা দূর হয়ে যায়, সেই কারণেই যাতে সাধারণ মানুষের দেখা করতে সমস্যা না হয়… সে জন্য তিনি কোলাঘাটে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে রেখেছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, সেখানকার কেয়ারটেকার তাঁকে ফোন করে প্রথম এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কেয়ার টেকার বলল, স্যর কিছু সিভিল ড্রেসে আইপ্যাকের ছেলে ও কোলাঘাটের সিআই ও ওসি কাউকে না বলে এখানে ঢুকেছে।’
শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে পুলিশের এই সক্রিয়তা কেন? সে নিয়েই প্রশ্ন তুলে কোলাঘাট থানায় পৌঁছান বিরোধী দলনেতা। সংবাদমাধ্যমের সামনে এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘সার্চ ওয়ারেন্ট, ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়া… আমার বা আমার অনুমোদিত লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে? যদি দুটো ভাঙা বন্দুক বা জাল নোট বা মাদক রেখে দেওয়া হয়, তার দায়িত্ব কে নেবে?’ বিরোধী দলনেতার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমার উপস্থিতিতে যদি সার্চ ওয়ারেন্ট থাকে, হাইকোর্টের অনুমোদন যদি থাকে, আমি অনুমতি দেব। আমি আইন মেনে চলি।’
শুভেন্দু অধিকারী জানান, তিনি কেয়ারটেকারের থেকে ওই খবর পাওয়ার পর দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বিষয়টি জানান। শুভেন্দু সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত কোলাঘাট গেস্ট হাউজে তাঁদের উপস্থিত থাকার জন্য বলেন।
কেন এই পুলিশি অভিযান, সেই নিয়ে কোলাঘাট থানায় গিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। থানার বাইরে এই নিয়ে একপ্রস্থ বিক্ষোভ ও স্লোগান চলে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘আমি আইনি পথে মোকাবিলা করে নেব। রাতের মধ্যেই আমি সিসিটিভি ফুটেজ পাঠাচ্ছি কমিশনকে। যে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর শেষ আমি দেখে ছাড়ব।’
এদিকে মঙ্গলবারের এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি এখনও পর্যন্ত না পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ওপরে ভিত্তি করে এক দুষ্কৃতীকে ধরতে কোলাঘাটের নির্দিষ্ট একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দলে বহু পুলিশকর্মী ছিলেন। তবে সেই বাড়িটি যে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়ি, সেটা তাঁরা জানতেন না বলেই দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে।