দিঘা: প্রবল বৃষ্টি আর সমুদ্রের গর্জন, তার মাঝে যদি গান শুনতে শুনতে যদি ভ্রমণ করা যায় প্রমোদতরীতে! কলকাতার অদূরেই এবার সেই থাকছে ব্যবস্থা। বর্ষা ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে বঙ্গে, আর এবার বর্ষায় সমুদ্রবক্ষে উপভোগ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন দিঘায়।
চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। বর্ষাকালেই দিঘার সমুদ্রে যাত্রা শুরু করবে প্রমোদতরী ‘এম ভি নিবেদিতা’। এই প্রমোদতরী নিয়ে দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ছিল পর্যটকদের। প্রায় সারা বছর ধরেই দিঘায় থাকে পর্যটকদের ভিড়। প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক দিঘার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান। যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়েও তেমন কোনও সমস্যা নেই।
দিঘা মানেই সমুদ্রে স্নান, সামুদ্রিক মাছ বা কাংড়া খাওয়া, কাছে পিঠে কিছু জায়গায় ঘুরে আসা। তবে সেই দিঘায় এবার আকর্ষণ বাড়ছে আরও। বর্তমানে দিঘায় তৈরি হয়েছে সহজ পাঠ পার্ক, মিউজিয়াম, কফি হাউস সহ আরও অনেক কিছু। তবে সমুদ্রবক্ষে যদি প্রমোদতরী নিয়ে ঘোরা যায়, তার থেকে বেশি আকর্ষণের আর কীই বা হতে পারে!
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগেই চালু হচ্ছে এই প্রমোদতরী। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই এই পরিষেবা চালুর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা কিছুটা পিছিয়ে যায়। পল্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে সেই বাধা দূর হয়েছে। তাই এবার বর্তেই দিঘায় পাওয়া যাবে গোয়ার স্বাদ।
এই বিষয়ে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য জানান, ফিটনেস সার্টিফিকেট হাতে এলেই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে। আগামী জুলাই মাসেই পর্যটকদের নিয়ে প্রমোদতরী সাগর সফর করতে পারবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সমুদ্রবক্ষে থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থা। হবে গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া করা যাবে রেস্তোরাঁয়, থাকবে ডিজে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তরীতে মোট ২ টি ডেক থাকছে। যাত্রীদের বসার জন্য থাকবে ৮০ টি আসন। ঘুরে দেখানো হবে মোহনা, ম্যানগ্রোভ। এই ভ্রমণের খরচ কত, তা এখনও জানানো হয়নি। আপাতত চম্পা নদীর মোহনায় নোঙর করা রয়েছে প্রমোদতরী ‘এম ভি নিবেদিতা’।