AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha: পিস্তল-কার্তুজ নিয়ে একজন দিঘা-মন্দারমণি ঘুরে বেড়াল, জানতেও পারল না কেউ! চাঞ্চল্যকর ঘটনা সৈকত-শহরে

Digha: বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধৃত পর্যটকের বাড়ি মালদহের মোথাবাড়িতে।

Digha: পিস্তল-কার্তুজ নিয়ে একজন দিঘা-মন্দারমণি ঘুরে বেড়াল, জানতেও পারল না কেউ! চাঞ্চল্যকর ঘটনা সৈকত-শহরে
প্রতীকী ছবিImage Credit source: AI Generated Image
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2025 | 6:42 AM

দিঘা: ছুটির দিন হোক বা নাই হোক, দিঘা-মন্দারমণিতে পর্যটকের ভিড় কমে না কখনও। সমুদ্র সৈকতে সবসময়ই উপচে পড়া ভিড়। বিশেষত গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় নতুন করে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়েছে। নতুন তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দিরের আকর্ষণেও যাচ্ছেন অনেকে। তবে সম্প্রতি যে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছিল, তার জন্য কড়া নজর রাখছিল প্রশাসন। আর সেই নজরদারিতেই হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক পর্যটক।

মন্দারমণির হোটেলে থাকা এক পর্যটকের কাছ থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। সোমবারই পর্যটককে গ্রেফতার করেছে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি ৯ এমএম পিস্তল সহ ১২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। কীভাবে তাঁর কাছে ওই অস্ত্র এল, কেনই বা সেটা নিয়ে হোটেলে হোটেলে ঘুরছিলেন তিনি, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি দিঘা ঘুরে তারপর যান মন্দারমণি। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধৃত পর্যটকের বাড়ি মালদহের মোথাবাড়িতে। পেশায় পোলট্রি ব্যবসায়ী ওই পর্যটকের নাম কৌশিক রায়। পরিবার নিয়ে গত রবিবার মন্দারমণি বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি, তার আগে ছিলেন সৈকত শহর দিঘাতেও।

ধৃত পর্যটককে সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিশেষ আদালতের বিচারক জামিন খারিচ করে দেন। তাঁকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দিঘা-মন্দারমণির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি এবার মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করতে হবে?

মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, “আমাদের মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, দিঘা- এইসব জায়গায় অনেক হোটেল সংগঠন রয়েছে । সবার কথা বলতে পারব না, তবে আমরা হোটেল মালিকরা প্রশাসনিক নির্দেশ মেনেই চলি। পর্যটকদের জিনিসপত্র তো আমরা চেক করতে পারি না। পরিবারের লোকই যেখানে জানতে পারেনি, সেখানে আমার বা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।”

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনার পর আরও কড়া করা হবে নজরদারি। যে সব হোটেল পুলিশের নির্দেশ মেনে চলছে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে হোটেল থেকে কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার হবে, সেই হোটেলের বিরুদ্ধেই কড়া আইনি পদক্ষেপ করব আমরা।”