Digha: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় বিপর্যয়ের মুখে দিঘার চিংড়ি ব্যবসা, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
Digha: প্রায় ৬৫ হাজার কোটি মূল্যের চিংড়ি রফতানি হয় আমেরিকায়। এর মধ্যে বাংলা থেকে একটা বড় অংশ রফতানি হয়। আমেরিকা ছাড়াও ভারত থেকে চিংড়ি আমদানি করে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, চিন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া সহ বেশ কিছু দেশ।

দিঘা: আচমকা ভারতীয় পণ্যের উপর ট্যারিফ বাড়িয়ে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাতেই বড় সঙ্কটে পড়েছেন বাংলার চিংড়ি রফতানিকারীরা। কার্যত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমেরিকা শুল্ক প্রত্যাহার করে কি না, আপাতত সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
আমেরিকা ছাড়া একইভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের বাজারে এই মাছ রফতানি করা হয়। তবে বাকি দেশগুলির তুলনায় আমেরিকায় ভারতীয় মাছের চাহিদা বেশি। প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় মাছের বাজার রয়েছে আমেরিকায়। ফলে অন্য দেশে মাছের বড় মার্কেট তৈরি হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
শুধুমাত্র বাংলা ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক খাঁড়ায় ধাক্কা খেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মাছ ব্যবসাও। ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ায় বিকল্প বাজার খুঁজে বের করতে না পারলে ভবিষ্যতে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। দেশ জুড়ে প্রায় ১,৮০০ এক্সপোর্টার বা রফতানিকারী রয়েছে। প্রায় ৬৫ হাজার কোটি মূল্যের চিংড়ি রফতানি হয় আমেরিকায়। এর মধ্যে বাংলা থেকে একটা বড় অংশ রফতানি হয়।
আমেরিকা ছাড়াও ভারত থেকে চিংড়ি আমদানি করে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, চিন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া সহ বেশ কিছু দেশ। দিঘার অন্যতম চিংড়ি রফতানিকারী শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, “উচ্চ শুল্ক দিয়ে চিংড়ি রফতানি করলে বিশাল ক্ষতি হবে। আমি আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করব। তারপর ইউরোপে নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা করব। কিন্তু আমেরিকায় এতদিন আমাদের একটা বড় অংশের মার্কেট দখলে ছিল। দেখা যাক কী হয়।” তিনি আরও জানান, অনেক রফতানিকারী আমেরিকায় তাদের চালান স্থগিত করেছে এই বিপুল শুল্কের জেরে।
তথ্য বলছে, চিংড়ি ব্যবসা ধাক্কা খেলে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ প্রভাবিত হবে। আগে রফতানি শুল্ক ছিল ৮.২ শতাংশ, পরে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৫ শতাংশ। আগামী ২৭ অগস্ট থেকে আরও ২৫ শতাংশ বাড়বে।
