Suprakash Giri: ‘শুভেন্দু অধিকারীর জেলা’, মেনে নিলেন সদ্য অপসারিত অখিলপুত্র সুপ্রকাশ
Suprakash Giri: তমলুকে নতুনভাবে যুব, মহিলা ও শ্রমিক সাংগঠনিক নেতৃত্ব বদল করল রাজ্য নেতৃত্ব। জেলার দুই সাংগঠনিক যুব সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে দুই নেতাকে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি থেকে আজগর আলি ও কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি পদ থেকে অখিল-পুত্র সুপ্রকাশ গিরিও সরানো হল।

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় তৃণমূলের একাধিক সাংগঠনিক রদবদল । যুব থেকে সরলেন সুপ্রকাশ গিরি! বদলে আনা হয় নতুন নেতৃত্বকে। সুপ্রকাশের মতে, ‘শুভেন্দুর গড়েট এই রদবদল কিছুটা হলেও ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে বিপাকে ফেলতে পারে দলকে!
তমলুকে নতুনভাবে যুব, মহিলা ও শ্রমিক সাংগঠনিক নেতৃত্ব বদল করল রাজ্য নেতৃত্ব। জেলার দুই সাংগঠনিক যুব সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে দুই নেতাকে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি থেকে আজগর আলি ও কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি পদ থেকে অখিল-পুত্র সুপ্রকাশ গিরিও সরানো হল। তাঁর জায়গায় তমলুকে আনা হয়েছে ছাত্র নেতা প্রসেনজিৎ দে-কে। আর কাঁথির ক্ষেত্রে খেজুরির ১ব্লকের যুব নেতা জালালউদ্দিন খানের উপর ভরসা রেখেছে নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, আজগর ও সুপ্রকাশ দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘোর বিরোধী।
এ ছাড়া মহিলা তৃণমূলের তমলুকে সভানেত্রী করা হয়েছে শিবানী দে কুণ্ডুকে। আর কাঁথি ক্ষেত্রে মহিলা সভানেত্রী করা হয়েছে শতরূপা প্যায়রাকে। জেলার শ্রমিক সংগঠনের ক্ষেত্রে তমলুকে ৯ জনের কোর কমিটি করা হয়েছে। কাঁথির ক্ষেত্রে বিকাশ বেজকে সরিয়ে আনা হল শিবরাম মাইতিকে।
সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “নির্বাচনের আগে দল সংগঠনকে ঝালিয়ে নেওয়া পরিকল্পনা থাকে। এটা সব ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আট বছর ধরে এই জায়গাটা দেখেছি। ২০১৭ সাল থেকে জেলা যুবক, কখন সভাপতি হিসাবে কাজ করেছি। কিন্তু দল একটা বয়সের দিকটাও ভেবে দেখেছে। আমার সেই বয়সটা পেরিয়ে গিয়েছে। আমি দলকে আগেই জানিয়েছিলাম, অন্য কাউকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি নিজে থেকে সরেছি। দল আমাকে সরায়নি। আমি নিজে থেকে সরে এসেছি।”
কিন্তু তিনি এও বলেন, “নির্বাচনের আগে এভাবে শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় এক সঙ্গে তিনটে শাখা সংগঠনকে বদলে দেওয়া, যাদেরকে করা হয়েছে, তাদের জেলা রাজনীতিতে আরও অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল হত। কারণ এই জেলায় সংগঠন খুব একটা ভাল জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। আমরা লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারিনি। আমরা সংগঠনিক কাজকর্মেও অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। তাই মনে হয়, অনভিজ্ঞ কাউকে যদি এখানে দুম করে বসিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি সময় পাবেন না, সংগঠনকে গুছিয়ে নেওয়ার।”
অন্যদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, “শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের রদবদল কেবল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নয়, দলীয় সিদ্ধান্তে বাংলা জুড়েই হয়েছে। উর্ধ্বতন নেতৃত্ব যা মনে করেছেন, নতুন লোককে আনলে ভাল কাজ হতে পারে, সেটাই মনে করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি।”
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অসীম মিশ্র বলেন, “তৃণমূলের আবার কী কমিটি। ওই দলের পদ বিক্রি হয়। যে যত টাকা তুলে দিতে পারবে, তারাই নেতা হবে।”

