
পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে বলেছেন, নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামে ভোটের ফল নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আদালতে ইলেকশন পিটিশনও ফাইল হয়েছে। নন্দীগ্রামের রেজাল্ট নিয়ে মন্তব্য করার সময় গতকাল মমতার গলায় শোনা গিয়েছে ‘বদলার’ কথা। বলেছিলেন, ‘আমি আজ না হয় কাল, বদলা তো নেবই।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই মন্তব্যের এবার পাল্টা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সন্ধেয় নাম না করে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক জনসভা থেকে বলেন, “এত ক্রোধ, প্রতিহিংসা আমার উপরে। কারণ কী জানেন?… ১৯৫৬-র জ্বালা (নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান)। এ জ্বালা মেটার নয়। বলছে, লোডশেডিং করে ভোটে জিতেছে… দেখে নেব, বদলা নেব। আরে কী বদলা আপনি নেবেন! আমি যদি মেদিনীপুরের ছেলে হই, আপনাকে প্রাক্তন করব।”
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এক হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মুখের হাসি চওড়া হয়েছিল শুভেন্দুর। পরে ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন মমতা।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার উঠে এসেছে লোডশেডিং-এর তত্ত্ব। গতকালও পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো এই ইস্য়ুতে সরব হয়েছেন।