Digha: রাতে হোটেল থেকে বের দেওয়া হল পর্যটকদের, হোটেলে হোটেলে ঝুলল তালা! শোরগোল দিঘায়
Digha Hotel: বুধবার রাতে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি হোটেলে অভিযান চালায়। নির্দেশ কার্যকর করতে পর্যটকদের বাইরে বের করে হোটেলগুলিতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

দিঘা: পুরানো দিঘার একাধিক হোটেলে বকেয়া পর্যটন নাগরিক সুবিধা চার্জ (ট্যুরিস্ট ট্যাক্স) আদায় করতে গিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) অভিযানে গত বুধবার রাতে তিনটি হোটেল থেকে পর্যটকদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে সৈকত নগরীতে। সূত্রের খবর, ২০২৩ সাল থেকে বহু হোটেলের ট্যুরিস্ট ট্যাক্স বাকি। বকেয়া মেটানোর জন্য বারবার নোটিস পাঠানো হয়। বৈঠক করেও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, শে নোটিসে হোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাকে পাত্তা না দিয়ে হোটেলগুলি খোলা রাখা হয়েছিল। তারপরই কঠোর পদক্ষেপ।
বুধবার রাতে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি হোটেলে অভিযান চালায়। নির্দেশ কার্যকর করতে পর্যটকদের বাইরে বের করে হোটেলগুলিতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্ষুব্ধ হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদে সরব হন। অন্যদিকে পর্যটকদের হয়রানি নিয়েও জনরোষ তৈরি হয়েছে।
বাচ্চা কোলে নিয়ে এক পর্যটক বলছেন, “আমাদের তো হঠাৎ বলল বেরিয়ে যেতে। আমরা কিছু বুঝতেই পারলাম না। ওরা সিল করে দিল। বাচ্চাটাকে যে খাওয়াব সেটুকুও সময় দেয়নি। বলল সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে যেতে হবে। এত বছর ঘুরতে আসছি, কিন্তু এবার দিঘার অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ।”
যদিও এ ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পর্ষদের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “একাধিক হোটেলের ট্যুরিস্ট সিভিক অ্যামেনিটি চার্জ দীর্ঘদিন থেকে বাকি। বারবার নোটিস পাঠানো হয়েছে, বৈঠক হয়েছে, তারপরেও তারা বকেয়া মেটায়নি। তাই পর্ষদ অভিযান করে।” তবে তিনি এও বলেন, “রাতের বেলা পর্যটকদের এভাবে বের করে দেওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই বিষয়ে জেলাশাসক তথা পর্ষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই পদক্ষেপ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।” অন্যদিকে পর্যটকদের বের করে দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য ঝাড়েস্বর বেরা বলছেন, “করের নামে তোলাবাজি চলছে। পর্যটকের স্বার্থের থেকে এখানে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে সামনের ছাব্বিশের নির্বাচন।”
