TMC Group Clash: এবারের ইস্যু ‘মেনটেনেন্স’, ঝগড়া লেগে গেল তৃণমূলে
TMC group Clash: হুগলির বর্তমান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নিজের সাংসদীয় এলাকায় একাধিক ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন উদ্বোধন করেন। চুঁচুড়া চকবাজারে সরকারি ট্রেনিং কলেজে একটি জলের মেশিন উদ্বোধন করতে যান তিনি।

চুঁচুড়া: পানীয় জলের মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। এই অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। আর তারপরই ‘ঝামেলা’ শুরু তৃণমূলের অন্দরে। বিধায়ক কিছু জানেন না! এমন কটাক্ষও শুনতে হয় তাঁকে। বস্তুত, এর আগে বহুবার বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার ‘মেনটেনেন্স’ নিয়ে লাগল ঝামেলা।
হুগলির বর্তমান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নিজের সাংসদীয় এলাকায় একাধিক ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন উদ্বোধন করেন। চুঁচুড়া চকবাজারে সরকারি ট্রেনিং কলেজে একটি জলের মেশিন উদ্বোধন করতে যান তিনি। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, এর আগে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন রত্না দে নাগ। তিনি পানীয় জলের যে মেশিনগুলো বসিয়েছিলেন সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যেগুলো বসাচ্ছেন সেগুলোর কার্যকারিতা ঠিক থাকবে কি?
সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার সেই প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, “রচনা এসব বলতে পারবে না। ও জানে না। রত্না দে নাগ যে জিনিস করেছিলেন সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। জলের মেশিন পুরসভা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো না করায় সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষও ঠিকমতো ব্যবহার করেনি।”
এরপরেই শুরু দ্বন্দ্ব। বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই ফের হুগলি চুঁচুড়ার পুরপ্রধান ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে আসে। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, “রত্না দি যে জলের মেশিন বসিয়েছিলেন, তার মধ্যে চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ডেরটা মেনটেন হয়। একটা বড়বাজারে, একটা হাসপাতালের ভিতর আছে। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ এগুলো পুরসভার এক্তিয়ারে নেই। রাস্তায় যেগুলো আছে সেগুলো পুরসভা রক্ষণাবেক্ষণ করে। বিধায়ক তখন ছিলেন না, তাই উনি জানেন না।”





