Nandigram : অপসারণের দাবি, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ২ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে শাসকদলেরই সদস্যরা

Nandigram : নন্দীগ্রামের দাউদপুরে দলেরই দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে পদ থেকে সরাতে উদ্যোগী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিজেপি বলছে, ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই এই ঝামেলা।

Nandigram : অপসারণের দাবি, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ২ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে শাসকদলেরই সদস্যরা
দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার ডাক দিলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 9:39 PM

নন্দীগ্রাম : নন্দীগ্রামে ফের শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার ডাক দিলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। জানা গিয়েছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প পরিকাঠামোর উপসমিতির সদস্য আব্বাস বেগ এবং নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ উপসমিতির সদস্য চন্দনা পন্ডার বিরুদ্ধে কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। নন্দীগ্রাম ১ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে এই অভিযোগ তুলে তাঁদের উপসমিতির সদস্যপদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুর ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আব্বাস বেগ-সহ আরও তিনজন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক দিন জেলে ছিলেন সামসুর। পরে অবশ্য তিনি জামিন পান। কিন্তু মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অপসারণের এই প্রস্তাব প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার ফল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল।

দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট পঞ্চায়েত সদস্য ১৩ জন। কিছুদিন আগেই পথদুর্ঘটনায় এক পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যু হয়। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা ১২। আব্বাস বেগ ও চন্দনা পন্ডার পক্ষে আছেন আরও এক পঞ্চায়েত সদস্য। প্রধান সামসুল ইসলামের পক্ষে আছেন ৯ জন সদস্য। বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানাতে একাধিক অভিযোগ করেছে।

গত ২১ জুন ৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস ও চন্দনাকে উপসমিতির সদস্যপদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে নন্দীগ্রাম ১ বিডিওর কাছে আবেদন করেছেন। এই নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে প্রধান দুর্নীতি চালিয়ে আসছেন। পঞ্চায়েত অফিসটি কাটমানি নেওয়ার জায়গা হয়ে গিয়েছে। তার প্রতিবাদ জানিয়েছি বলেই আমাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে প্রধান সামসুর রহমান বলেন, “ওই দু’জন উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা করছিলেন না। সেইজন্যই পঞ্চায়েত সদস্যরা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

যদিও জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে সবাই জয়ী হয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের সদস্য হয়েছেন। কারোর কাজ ভাল লাগতে পারে। তাতে আস্থা থাকতে পারে। আবার কারও কাজ ভাল না লাগলে অনাস্থা আনতেই পারে। সবাই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। এর থেকে বেশি কিছু জানি না। আর বলতেও পারব না। এটা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। খবরটা আমার কানে এসেছে।” নন্দীগ্রাম ১ বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যদের আবেদন পেয়েছি।”

নন্দীগ্রামে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি মানুষকে তাদের সুযোগ সুবিধা না দিয়ে চুরি করে চলেছে। নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যার জেরেই এই অনাস্থা। প্রধান চুরির ভাগ একটু বেশি নিচ্ছে। সদস্যরা কম পাচ্ছে। তাই প্রতিবাদ করেছে। সেই জন্যই অনাস্থা জমা পড়েছে।”