AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Medinipur: ঘরের ভিতরই রমরমা ব্যবসা, ছেলেপুলে আসত রোজই… মাঝরাতে অভিযান, টেনে তুলল পুলিশ

Purba Medinipur: ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এরপর আরও কিছু জায়গার কথা জানতে পারে পুলিশ। সেইমতো তল্লাশি চলে।

Purba Medinipur: ঘরের ভিতরই রমরমা ব্যবসা, ছেলেপুলে আসত রোজই... মাঝরাতে অভিযান, টেনে তুলল পুলিশ
সাংবাদিকদের মুখোমুখি পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 11:36 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: ঘরের ভিতর প্রায়শই ছেলেপুলে আসত। কী যে চলত তা আর কেউ বুঝে উঠতে পারত না। তবে অতীতের রেকর্ড খুব একটা ভাল নয়, এলাকায় বেশ দাপট সঞ্জয় তাঁতির। তাই কেউ বিশেষ কিছু বলতও না। এরইমধ্যে ময়না থানা এলাকায় ঘুঘুরপুলে একটি ঘরে বোমা বাঁধার খবর পায় পুলিশ। রবিবার রাতে অভিযান চালায়। এরপরই হাতেনাতে ধরা পড়েন সঞ্জয় তাঁতি নামে ওই যুবক। ময়না ব্লকের বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ামাহাল গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ময়না থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি সঞ্জয় তাঁতির কাছ থেকে পেটো বোমাও উদ্ধার হয়েছে। ময়না থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল পাঠক সাংবাদিক সম্মেলন করে সোমবার জানান, “রবিবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে গোড়ামাহাল গ্রামে সঞ্জয় তাঁতি, যাঁর বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ ছিল, তাঁর আরও সাগরেদদের নিয়ে বোমা বাঁধা শুরু করেছেন। এরপরই অভিযানে যাই আমরা। রাত ১২টায় অভিযান চালাই। সেখানে আরও লোকজন ছিল। অন্ধকারে বাকিরা পালালেও সঞ্জয় পালাতে পারেননি। ধরা পড়ে যান।”

পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে সঞ্জয় তাঁতির সেই আস্তানা তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে। ছ’জন সেখানে থাকার খবর থাকলেও, অন্ধকারের কারণে মূল অভিযুক্তকে তারা ধরতে সমর্থ হয়। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় ১৩ রাউন্ড গুলি, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ৪৫টি তাজা পেটো বোমা উদ্ধার হয়। এই বোমায় জীবনহানি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানান পুলিশ আধিকারিক।

ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এরপর আরও কিছু জায়গার কথা জানতে পারে পুলিশ। সেইমতো তল্লাশি চলে সোমবার। এদিনও এক ড্রাম বোমা উদ্ধার হয়। ৪০ থেকে ৪৫ পিস বোমা ছিল সেখানে। এখনও অবধি ১৫ কেজির কাছাকাছি বোমা তৈরির মশলা, বোমার তৈরির জন্য পেট্রোল, কেরোসিন, পেরেক, স্টোনচিপ, সুতলি দড়ি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার ধৃতকে আদালতেও তোলা হয়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় তারা।