Jhalda: তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা মাঠ দখল করে নিচ্ছেন, অভিযোগ তুলে ময়দানে গ্রামের লোকেরা
Purulia: তুলিন গ্রামের পাশে ইউনাইটেড ক্লাবের মাঠ। প্রায় দেড় একর জমি এখানে। সেই জমিই দখল করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি শেখ সুলেমানের দিকে। এলাকার লোকজনের দাবি, প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন এই মাঠ।
পুরুলিয়া: জমি নিয়ে বচসায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ উঠল পুরুলিয়া তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় ঝালদা থানার তুলিন এলাকায়। সরকারি খাস জমি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তা নিয়েই অশান্তি ওঠে চরমে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তুলিন গ্রামের পাশে ইউনাইটেড ক্লাবের মাঠ। প্রায় দেড় একর জমি এখানে। সেই জমিই দখল করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি শেখ সুলেমানের দিকে। এলাকার লোকজনের দাবি, প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন এই মাঠ। এখানে দিনের পর দিন এলাকার বাচ্চারা খেলাধূলা করে। এলাকার তিনটি প্রাথমিক স্কুলের খেলার মাঠ নেই। তাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও একমাত্র মাঠ এটিই। সেটাই দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
যদিও শেখ সুলেমান বলেন, “আমার কেনা জমি। দু’বছর আগে কিনি। যখনই জমির মাপজোক করতে যাই আমাকে বাধার মুখে পড়তে হয়। খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়। বলে, অনেকদিন ধরে জমি দখল করে আছি, ছাড়ব না। আমি ঝালদার আইসি, বিডিও অফিস, বিএলআরও অফিসে চিঠিও দিয়েছি। আজ ২৮ তারিখ জমি মাপার দিন ছিল। গিয়ে দেখি ৩০-৪০ জন শাবল, ঠ্যাঙা নিয়ে তৈরি। আমি বললাম, আমার রেকর্ডভুক্ত জমি, মাপ তো করবই। তোমরা বাধা দিচ্ছ কেন? প্রশ্ন করতেই হামলার চেষ্টা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।” তুলিন ইউনাটেড ক্লাবের সদস্য যজ্ঞেশ্বর মাহাতোর নামে অভিযোগ তাঁর।
পাল্টা যজ্ঞেশ্বর মাহাতো বলেন, “মাঠটা ১০০ বছরের পুরানো। হঠাৎ শুনলাম শেখ সুলেমান নিজের নামে জমি রেকর্ড করে নিয়েছে। এটা দখলের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। এরপর এলাকার লোকজন রুখে দাঁড়াতেই ওরা চলে যায়। মাঠ তো আমরা ছাড়ব না।”
আজসু পার্টির ঝালদা ১ ব্লকের সম্পাদক বিনয় গোস্বামীর বক্তব্য, “ইউনাইটেড মাঠটা অনেক পুরনো। খেলা হয় এখানে। হঠাৎ একদিন শুনলাম এ মাঠ নাকি কিনেছে কেউ। তবে গ্রামবাসীরা জমি দখল করতে দিতে রাজি নয়। যজ্ঞেশ্বর মাহাতোকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। মারধরও করে। ওরা বলছিল, জমি দখল করেই যাবে। তবে মানুষ প্রতিরোধ করেছে, দখল হতে দেবে না এই জমি।”
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনীতির সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “এই সরকার মাফিয়াদের উপরই চলছে। জমি, বালি, কয়লা, চাকরি মাফিয়ারা এ সরকারের স্তম্ভ। গ্রামবাসীরা বলছে, এই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চারা খেলাধূলা করে। অনুষ্ঠান হয়। হঠাৎ তার দাবিদার চলে এল? গ্রামের পুরনো লোকরা তো জানবে কে কোন জমির দাবিদার?”