পুরুলিয়া: কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে এদিনই রাজ্যে দশ জায়গায় একযোগে হানা দেয় সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি জোরদার তল্লাশি চলে বার্নপুর, পুরুলিয়া, দুর্গাপুর, মালদহেও। সিবিআইয়ের অভিযান চলল পুরুলিয়ার নিতুরিয়ায়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আট-নয় জনের একটি দল নিতুরিয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় যায়। গ্রামে সিবিআইয়ের পা পড়তেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় গোটা এলাকায়। চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় গ্রামবাসীদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, সরবড়ি গ্রামে ঢুকে গ্রামেরই সৈকত দে নামে এক যুবকের খোঁজ শুরু করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। খোঁজ পেতেই সোজা তাঁর বাড়িতে চলে যান তাঁরা। বাড়িতে ওই ব্যাক্তিকে না পেয়ে ভিতরের ঘরের দরজায় লাগানো তালা সিল করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধু সৈকত নয়, গ্রামের আর এক যুবক সুপ্রদীপ মণ্ডলেরও খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়িতেও চলে অভিযান। কিন্তু, সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়। সঙ্গে করে তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে যান আধিকারিকেরা। আচমকা সিবিআই হানায় আতঙ্কের ছাপ সুপ্রদীপের গোটা পরিবারে।
কেন ছেলেকে আচমকা তুলে নিয়ে যাওয়া হল সে বিষয়ে অথৈ জলে সুপ্রদীপের বাবা-মা। তবে সৈকতের খোঁজ না পেলেও তাঁর বাড়ির সামনে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েকের বেশি সময় বসে থাকতে দুই সিবিআই আধিকারিককে। সৈকতের মা জানাচ্ছেন, তাঁদের ছেলে বেশ কয়েকদিন বাড়ির বাইরে রয়েছে। নিজের কাজেই গিয়েছে। কিন্তু, আজ আচমকা সিবিআই কেন তাঁদের বাড়িতে এল সে বিষয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন তাঁরা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, কয়লা কেলেঙ্কারিতে নতুন লিড খুঁজতেই এই অভিযান সিবিআইয়ের। এখন দেখার সুপ্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কী তথ্য পান তদন্তকারীরা।