Madhyamik Exam 2024: দু’পাশের ঘন জঙ্গল, আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে চিতাবাঘের, ভয় বুকে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
Purulia: ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পেল না সিমনি জাবর এলাকার পড়ুয়ারা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এখানে চিতা বাঘের ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার রয়েছে গভীর জঙ্গল। প্রায় ১৭ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও তাদের জন্য প্রশাসন থেকে কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ
পুরুলিয়া: বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র। যে রাস্তা দিয়ে যেতে হয়, তার দুপাশে ঘন জঙ্গল। হাতির ভয় তো ছিল, কিন্তু কয়েক দিন আগেই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে, জীবনের বড় পরীক্ষা। তাই দ্বিতীয় কোনও উপায় নেই। ওই পথ উজিয়েই পরীক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়, কিন্তু গাড়ি এল বটে, কিন্তু বিশেষ গাড়ি নয়। খোলা গাড়িতেই পরীক্ষার দিতে যেতে হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদদের।
ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পেল না সিমনি জাবর এলাকার পড়ুয়ারা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এখানে চিতা বাঘের ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার রয়েছে গভীর জঙ্গল। প্রায় ১৭ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও তাদের জন্য প্রশাসন থেকে কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সিমনি গ্রামের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সাগর কর্মকার। মোটর বাইকে তাকে পরীক্ষা দিতে যেতে হয় ঝালদার সত্যভামা বিদ্যাপীঠের পরীক্ষা কেন্দ্রে।
চিতাবাঘের আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা অভিভাবক অখিল কর্মকার বলেন, “হাতি রয়েছে এমন এলাকায় প্রশাসন থেকে গাড়ি দেওয়া হলেও, চিতা বাঘের আতঙ্ক রয়েছে সিমনি এলাকায়। তার জন্য কোনও গাড়ি দেওয়া হয়নি। এজন্য সমস্যায় পড়ছি।” অবিলম্বে গাড়ি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। উল্লেখ্য বনাঞ্চল গুলির পরীক্ষার্থীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বন দফতরের পক্ষ থেকে। যদিও বনদফতরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হয়, তাহলেই বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা থাকছে। জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ গাড়ি থাকছে না।