পুরুলিয়া : আন্তঃর্দেশীয় মোবাইল চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ১৯ নভেম্বর রাতে পুরুলিয়া (Purulia) শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি নামী মোবাইল দোকানের (Robbery in Mobile Shop) শাটার ভেঙে চুরি হয়ে যায় মোবাইল ফোন। শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এলাকার ওই মোবাইলের দোকান থেকে প্রায় ১৫০ টি মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। জোরকদমে তদন্ত শুরু পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ খোঁজ পায় একটি আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতী দলের। দেশের নানা প্রান্তে তারা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। তারাই পুরুলিয়ার ঘটনার নেপথ্যে আছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছিল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে চম্পারন গ্যাং। তাদের ধরতেই নানা জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ (Police)।
এদিকে তাদের অপরাধের ধরণ সম্পূর্ণ অদ্ভূত। প্রথমে সাধারণ নিরাশ্রয় পথচারী সেজে রাতে কোনও দোকানের সামনে ত্রিপল টাঙিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে ত্রিপলের আড়ালে শুরু হয় কুকর্ম। আড়াল হয়ে যায় সিসি ক্যামেরাও। তারপর ধীরে ধীরে শাটারের দরজার চাবি ভাঙতে শুরু করে। একসময় বাকি সঙ্গীদের ডেকে নিয়ে সবকিছু লুঠ করে পালিয়ে যায়। তদন্তে নেমে দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ। গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যদেরও খোঁজ চলছে। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকিগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের অনুমান চোরাই মোবাইলগুলি নেপালে চালানের ছক কষেছিল দুষ্কৃতিরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ২০ তারিখে কেসটার কথা জানতে পারি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুরোদমে তদন্ত শুরু হয়। তারপরে জানতে পারি এখানে চম্পারণের একটা গ্যাং গা ঢাকা দিয়ে এ সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে খোঁজ-খবর শুরু করতেই জানা যায় গোটা দেশেই তাঁরা এ ধরনের কাজ করছে। এদের মধ্যে দুজনকে আমরা গ্রেফতারও করেছি। এরা চুরির পর বেশিরভাগ মোবাইলই নেপালে পাচার করে দিচ্ছি। এদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেছি। বাকিগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”