Murder Case: গলায় ব্লেড চালিয়ে দিলেন প্রতিবেশী, হাসপাতালেই মৃত্যু দুই ভাইয়ের
Murder Case: মৃতের আত্মীয় জিতেন বাউরি জানান, কোনও কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। তারপরই অভিযুক্ত ব্লেড চালিয়ে দেন।
রঘুনাথপুর: প্রতিবেশীর সঙ্গে আচমকা হাতাহাতি। আর তার পরিণতি হল মর্মান্তিক। প্রাণ গেল তরতাজা দুই যুবকের দুই পড়শির বিবাদে খুন ২ যুবক, আহত ২। বুধবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। বুধবার রাতে মন্টু বাউরির সঙ্গে প্রতিবেশী সুরজ বাউরির বিবাদ শুরু হয়। এরপরে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মধ্যস্থতা করতে ছুটে যান সুরজের বাবা বাপি বাউরি ও দাদা প্রতীক বাউরি। অভিযোগ, এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁদের ওপরে হামলা চালান মন্টু বাউরি।
ঘটনার জেরে চারজনই গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সুরজ বাউরি (১৬)-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় প্রতীক বাউরির (১৮), হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বাপি বাউরি ও মন্টু বাউরি।
মৃতের আত্মীয় জিতেন বাউরি জানান, কোনও কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। তারপরই অভিযুক্ত ব্লেড চালিয়ে দেন। মৃতের বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি অভিযুক্তের সঙ্গে ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল। প্রতিবেশী হিসেবে সম্পর্কও খারাপ ছিল না। তবে এভাবে কেন খুন করা হল, কী এমন ঘটেছিল, বুঝে উঠতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। হাসপাতালে ছুটে যান রঘুনাথপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অবিনাশ ভীমরাও জোধাবর। তবে কী কারণে এই বিবাদ, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ।