পুরুলিয়া: এবার প্রধানমন্ত্রীর শততম মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পেলেন পুরুলিয়ার সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রীপতি টুডু। প্রসার ভারতীর তরফে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে তাঁকে। সাঁওতালি ভাষায় সংবিধান অনুবাদ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা পান তিনি। লকডাউনের সময় সেই কাজ সম্পূর্ণ করেছিলেন পুরুলিয়ার সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। অলচিকি হরফে তাঁর অনুবাদ করা ভারতের সংবিধান সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদিত একমাত্র সংবিধান। ইতিমধ্যেই তা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শ্রীপতি টুডুর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত শ্রীপতি টুডুও। তিনি বলেন, “সংবিধানের বর্ণিত অধিকারগুলি যাতে আমাদের সমাজের মানুষ জানতে পারেন সেই লক্ষ্যেই সংবিধান অনুবাদের কাজ শুরু করেছিলাম। নিজের ভাষায় সংবিধান পড়তে পারলে গণতন্ত্র নিয়েও জ্ঞান বাড়বে।” তাঁর সেই উদ্যোগের জন্য দিল্লি থেকে আমন্ত্রণ এসেছে। ইতিমধ্যে দিল্লির উদ্দেশে রওনাও দিয়েছেন তিনি।
শুধু শ্রীপতি টুডুই নন বাংলা থেকে ডাক পেয়েছেন আরও ১৬ জন। এরমধ্যে রয়েছে পদ্মশ্রী সুভাষিণী মিস্ত্রির নামও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাঁসপুকুর গ্রামে থাকেন তিনি। ২০১৮ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ২৩ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়েছিলেন সুভাষিণীদেবী। ঘরে তখন চার সন্তান। সবজি বিক্রি করে বাচ্চাদের বড় করেছেন। সেই সুভাষিণীদেবী সবজি বিক্রির টাকা দিয়েই এলাকার দুঃস্থদের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় চালান।
এছাড়াও নাম রয়েছে পেডিয়াট্রিক সার্জেন অভয় গুপ্ত, ডায়াটেশিয়ান স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সরোদবাদক অতীশ মুখোপাধ্যায়, ব্যবসায়ী মহেন্দ্রকুমার দাগা, মালয়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী অপর্ণা দাস, লেখক তথা বৈদিক গণিতের পণ্ডিত গৌরব টেকরিয়াল, সাইকোলজিস্ট মিস আস্থা, হিন্দু ধর্ম আচার্য মহাসভার মহাসচিব মহারাজ।