Recruitment Scam: ‘মধ্যরাতে ১৮ লাখের ডিল হচ্ছে, ছাদ থেকে শুনছিলাম’, বিধায়ক কালীপদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলার

সিজার মণ্ডল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 12, 2023 | 1:53 PM

Recruitment Scam: আর টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন যাঁরা, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা আজ চাকরি হারা। টাকা গিয়েছে, গিয়েছে চাকরিও, তারপরও চুপ তাঁরা। কাকে টাকা দিয়েছিলেন, কত টাকা, তা নিয়ে টুঁ শব্দটা করছেন না শ্যামপুরের চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের পরিজনরা।

Recruitment Scam: মধ্যরাতে ১৮ লাখের ডিল হচ্ছে, ছাদ থেকে শুনছিলাম, বিধায়ক কালীপদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলার
তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল

Follow Us

হাওড়া: উপযুক্ত সার্টিফিকেট নেই, নেই চাকরি পাওয়ার মতো যোগ্যতা। এরমকই অযোগ্যকে ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন। ডিল হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকার! হাওড়ার শ্যামপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ এক মহিলা। গ্রামেই বাড়ি তাঁর। আর মধ্যরাতে তাঁর বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে অযোগ্য সেই ব্যক্তির সঙ্গে নাকি ডিল করেছেন বিধায়ক। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক দাবি করলেন এক মহিলা। নিয়োগে দুর্নীতির তল খুঁজতে, হাওড়ার শ্যামপুরে TV9 বাংলার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিধায়ক।

নিরাপত্তার স্বার্থে ওই মহিলার নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। মহিলার বক্তব্য, “ডিল হচ্ছে…১৮ লাখ টাকা দিতে হবে। আমি ছাদ থেকে শুনতে পারছি। রাত বারোটার সময়ে ডিল হচ্ছে। বলছে, ১৮ লাখ টাকা দিলেই হবে। কাগজ থাক, নাই থাক। কালীবাবুর সঙ্গে ডিল হচ্ছে, সব শুনতে পারছি। টেটের দরকার, সব টাকা দিয়ে বার করে নেব।” ওই মহিলা আরও বলছেন, “রাতে কালীবাবু বলছেন , আমি কি এত নীচ নাকি, বেসিকের সার্টিফিকেট বার করতে হবে, সেখানে ২ লক্ষ দিতে হবে। টেটের অ্যাডিমট নেই, সেখানে ২ লক্ষ দিতে হবে।” প্রতিনিধির প্রশ্ন, ‘কালীবাবু মানে?’ মহিলা বলেন, “কালীবাবু মানে আমাদের এমএলএ, কালীপদ মণ্ডল। সেও আছে এসবের সঙ্গে জড়িত।”

মিডলম্যান হিসাবে এলাকায় শাসক ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নাম জড়িয়েছে। এবার নাম জড়ালো বিধায়কের। TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডলের সঙ্গে। বিধায়কের বক্তব্য, “ওই মহিলাকে আমার সামনে এনে দাঁড় করান। ওই মহিলাকে পরামর্শ দিন, যাতে ওঁ আমার সঙ্গে এসে দেখা করেন। যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে, সমাধান হয়ে যাবে। পাঠিয়ে দিন আমার কাছে। আজ পর্যন্ত আমি তো আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ শুনিনি। আমায় ওই মহিলাকে চিনতে হবে।”

দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? হাওড়ার শ্যামপুরের একটি ব্লকে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। বেশ কয়েকটা মিডল ম্যানের নাম উঠে এসেছে। প্রভাস বেরা, প্রভাস সামন্ত, অম্লান থান্ডারি, পলাশ সামন্ত, জগবন্ধু মণ্ডলের নাম। অভিযোগ উঠেছে, গত কয়েক বছর আগেও যাঁদের ছিল মাটির বাড়ি, তাঁরা এখন বিরাট অট্টালিকার মালিক।

এ দিকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন যাঁরা, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা আজ চাকরি হারা। টাকা গিয়েছে, গিয়েছে চাকরিও, তারপরও চুপ তাঁরা। কাকে টাকা দিয়েছিলেন, কত টাকা, তা নিয়ে টুঁ শব্দটা করছেন না শ্যামপুরের চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের পরিজনরা। ওয়াকিবহালের মতে, তদন্তকারীরা বেশ ভালই বুঝতে পারছেন, শ্যামপুর কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, গোটা রাজ্যে বিভিন্ন ব্লকের ছবিটা কার্যতই একই। দুর্নীতির জাল বিছানো হয়েছিল ঠিক এইভাবেই। এই নেটওয়ার্কটা ভাঙাটাই এখন তদন্তকারীদের মূল উদ্দেশ্য।

Next Article