উত্তরবঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছে বন্যা কবলিত এলাকার রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। সিকিমের রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন সিভি আনন্দ বোস। হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮।
বুধবারের ঘটনাকে ‘বিপর্যয়’ ঘোষণা করল সিকিম রাজ্য সরকার। পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যে লাগু হল বিপর্যয় মোকাবিলা আইন।
উত্তরবঙ্গে রাজ্যপাল। সেচমন্ত্রী যখন ভাঙা বাঁধ পরিদর্শন করছেন, তখন ক্যাম্পে গিয়ে দুর্গত বাসিন্দাদের মিষ্টি বিলি করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে দ্রুত এক হাজার টাকা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুর্গতরা জানান, দ্রুত একশো দিনের কাজ চালু করার জন্য। কেন বকেয়া টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না, সে প্রশ্নও তোলেন। দু’ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
বিভিন্ন ট্যুর অপরাটারদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে বিদ্যুত্ সংযোগ না থাকা, যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অসুবিধে।
সিকিমের একটা বড় অংশ লাচুং, লাচেনে প্রচুর পর্যটক আটকে রয়েছেন। রংপোর IBM বিল্ডিংয়ে আটকে আছেন বহু পর্যটক। আবহাওয়ার উন্নতি হলে পর্যটকদের চপারে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাংলা ছাড়াও বিহার, জম্মু-কাশ্মীর ও বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু পর্যটক আটকে আছেন পাহাড়ে।
সিকিমে বিরাট বিপর্যয়। পাহাড়ি রাজ্যের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। বাংলার প্রচুর পর্যটক এখনও আটকে সিকিমে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর বলছে, বাংলার প্রায় ৩ হিজার পর্যটক আটকে আছেন সিকিমে।
সিকিমের বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ। বিশেষ করে দার্জিলিঙ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের অবস্থা খারাপ। পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
বিপুল অস্ত্রশস্ত্র এবং সেনাবাহিনীর গাড়ি তিস্তার স্রোতে ভেসে গিয়েছে। দেহগুলো উদ্ধার করতে গজল ডোবায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের দুটি ইউনিট রাখা হয়েছে। আজ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল।
বিপর্যয়ে লণ্ডভণ্ড সিকিম। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মৃত ১৪, জখম ২৬। নিখোঁজ প্রায় ১০২। খোলা হয়েছে ২২টি ত্রাণ শিবির।দু’হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। যে ২৩ সেনা জওয়ান নিখোঁজ ছিলেন তাদের মধ্যে একজনকে গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ এখনো মেলেনি।