দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে মাকে খুন করল ছেলে। নেশার টাকা না পেয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করেছে বলে অভিযোগ। নাতির কান্নাকাটি ও চিৎকারে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এলে ধরা পড়ে অভিযুক্ত ছেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। ঘটনায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের দিদি স্বর্ণলতা হালদারের। দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার ভাই শম্ভু হালদার। ধৃতকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাসগ্রাম মাঠকল এলাকার বাসিন্দা মায়া হালদার (৭২)। তিনি আয়ার কাজ করতেন। মঙ্গলবার কাজ সেরে রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। রাতেই টাকার জন্য মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাতে মায়ার বাড়ি থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ছেলে মাঝেমধ্যে নেশা করে এসেছে বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি করেন, তাণ্ডব চালান বলে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন। তাই মঙ্গলবার চিৎকার শুনলেও আর পাঁচ দিনের ঘটনা ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে বাচ্চা ছেলেটার ভয়ঙ্কর কান্না শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। তখন দেখেন বাড়ির ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মায়া।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মায়ার নাতিকে জিজ্ঞাসা করতেই সে সবটা বলে ফেলে। শিশুটি জানান, তার বাবাই ধারাল অস্ত্র দিয়ে ঠাকুমার গলার নলি কেটে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।