দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এলাকায় বিরাট গাড়ি হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়াতেন অল্প বয়সী ডাক্তার (Doctor)। সঙ্গে থাকতেন চারজন বাউন্সার। কস্মিনকালেও গাঁয়ের মানুষ বাউন্সার নিয়ে ডাক্তারকে ঘুরতে দেখেননি। তা থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। এ ডাক্তার ভুয়ো বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার প্রথমে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গরমিল নজরে আসায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকারি পরিচয়পত্রও দেখিয়েছেন মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়।
ভাঙড়ের মাধবপুরের বাসিন্দা রহমান মোল্লা জানান, মাস তিনেক হল নীল বাতির গাড়ি, বাউন্সার নিয়ে এলাকায় আসেন রাকেশ মিদ্যা নামে এক যুবক। তিনি নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। কিন্তু ডাক্তার বাউন্সার নিয়ে কেন ঘুরবে, সন্দেহ হয়। এরপরই খোঁজ খবর শুরু করেন তাঁরা। রাকেশ আদৌ ডাক্তার নন বলে অভিযোগ রহমানের। রহমান বলেন, “এলাকার বেশ কয়েকজনের থেকে এই ডাক্তার আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের জেরক্সও নেন। কাজ দেবেন বলে। ওসব কিছুই দেননি।” উল্টে অভিযোগ, করোনার সময় মানুষের বিপদের দিনে সাহায্যের নামে এলাকা থেকে টাকা তুলছিলেন রাকেশ।
ভাঙড় থানার পুলিশকে সবটা জানালে চার দেহরক্ষী-সহ রাকেশ মিদ্যাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ ধরে নিজেকে ডাক্তার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন রাকেশ। তবে সফল হননি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছে যে ডাক্তারি পরিচয়পত্র ছিল তাও ভুয়ো বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শুক্রবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। রাকেশ মিদ্যার বক্তব্য, তাঁর উপর হামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি বাউন্সার নিয়ে ঘোরেন। তিনি বিএইচএমএস। সে সংক্রান্ত সমস্ত কাগজও তাঁর আছে। প্রয়োজন পড়লে আরও বেশি পড়াশোনা করে ডিগ্রি নিয়ে ভাঙড়ে আসবেন বলে জানান হোমিওপ্যাথির এই ডাক্তার।