ডায়মন্ড হারবার: ‘সবেমাত্র ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়াব বলেছি, তাতেই ভয়ে কাঁপছে কালীঘাট’। সপ্তাহখানেক আগেই কটাক্ষ ছুড়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এবার তাঁকে পাল্টা বিঁধলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। নওশাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ডায়মন্ডহারবারে নয়, ভাঙড়ে ফের একবার দাঁড়িয়ে প্রমাণ করো তুমি নওশাদ সিদ্দিকি! দেখবো তোমার কত বড় হিম্মত!”
লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। শাসক বিরোধী উভয়ই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন। সংগঠনের অবস্থা বুঝে নিচ্ছেন নেতারা। তার মধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের মাটিতে দাঁড়িয়ে নওশাদ চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন ‘সংগঠনের অবস্থা ভাল করে বুঝে নিয়েছেন, তাই নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে যাবেন না বলছেন অভিষেক’। তিনি বলেছিলেন, । ওখানে থাকুন বা না থাকুন কোনও লাভ হবে না, অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন নওশাদ। সোমবার ভাঙড়ের সাতুলিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের সংহতি দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে নওশাদ সিদ্দিকিকে হুঁশিয়ারি দিলেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “তুমি আজ ভাঙড় থেকে পিছু হটে ডায়মন্ডহারবারে যাচ্ছো, ওখানকার ছেলেরা জুতোর মালা পরিয়ে গলা ধাক্কা দিয়ে বার করে দেবে!” কেবল আরাবুল নয়, এক্ষেত্রে তাঁকে সমর্থন করেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লাও।
প্রসঙ্গত, একুশে জানুয়ারি ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। এই প্রথম এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ছাড়াই রাজনৈতিক সভা ছিল আইএসএফের। যেখানে দলীয়কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ঠিক তারপরের দিনই ভাঙড়ে গাবতলা বাজার থেকে সাতুলিয়া বাজার পর্যন্ত একটি মিছিল ও রাজনৈতিক সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকেও আরাবুল নওশাদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন।
আরাবুল আরও বলেন, “২০১৯ লোকসভা ভোটে এক লক্ষ দশ হাজারেরও বেশি ভোটে ভাঙড় বিধানসভা থেকে লিড দিয়েছিলাম। এবারেও ভাঙড় বিধানসভায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নওশাদকে ভাঙড়ের মাটিতে পুঁতে দিয়ে প্রমাণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।”
অবশ্য তৃণমূলের নেতাদের এই চ্যালেঞ্জের জবাবে নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, “হারের আতঙ্কে কালীঘাট থেকে ভাঙড়ের নেতারা কাঁপছেন। ভাঙড়ের আইএসএফ নেতারা যেভাবে লোকজন জড়ো করেছেন, সেই লোকজন দেখে ভুল বকা শুরু করেছেন। অভিষেকবাবুর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি। ২০২৬-এ কোথায় দাঁড়াব, সেটাও দেখা যাবে।”