Bhangar TMC Joining: পঞ্চায়ত নির্বাচনের আগেই ভাঙড়ে আইএসএফে ভাঙন অব্যহত, দু’দিনের ব্যবধানে আবারও তৃণমূলে যোগদান
Bhangar TMC Joining: এই যোগদান নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, "মানুষ এখন আর তৃণমূলের সঙ্গে নেয়। নিজদের অবস্থান বোঝাতে এসব লোক দেখানো কর্মসূচি পালন করছে।"
ভাঙড়: ভাঙড়ে আইএসএফ গড়ে ভাঙন। এবার ভাঙড় ২ ব্লকের শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩০টি পরিবার যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলামের হাত ধরে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন আইএসএফ কর্মীরা। এই যোগদান কর্মসূচিতে খয়রুল ইসলামের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা প্রদীপ মণ্ডল, কাজি মমিন-সহ একাধিক নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফের কিছু থাকবে না। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সকলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। ভাঙড়ে একটাও বুথেও আইএসএফ জিততে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয় তৃণমূল নেতা খয়রুল। যদিও এই যোগদান নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “মানুষ এখন আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। নিজদের অবস্থান বোঝাতে এসব লোক দেখানো কর্মসূচি পালন করছে।” তাঁর বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলই বলে দেবে ভাঙড়ের মানুষ কাদের সঙ্গে আছে।
তার এক দিন আগেই আইএসএফ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরল ৬০টি পরিবার। গত বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের ওপর মান অভিমান করে আইএসএফ এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ভাঙড়ের ব্যাঁওতা ২ অঞ্চলের কুলবেরিয়া এলাকার সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁরাই আবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। ভাঙরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ মন্ডল ও খয়রুল ইসলামের হাত ধরে প্রায় ৬০টি পরিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। যোগদানকারীদের বক্তব্য, শাসকদলের ওপর ভুল বুঝে তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে অন্য দলে যোগদান করেছিলেন কিন্তু সেখানে তাঁদের কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। এমনকি বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানো হয়নি। তাই তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলে যোগ দিলেন।
তৃণমূল নেতা প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “ধর্মের বাণী শুনিয়ে এই সকল মানুষদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। মান অভিমান করে অন্য দলে গিয়েছিলেন। তাঁরা আবার তৃণমূলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আমাদের দলে ফিরে এসেছেন।”
তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলাম বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আইএসএফ বা বিজেপি বলে কিছু থাকবে না প্রত্যেকটা বুথ জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।”