Murder: মাকে ফোনে জানায় ‘বিয়ে করে ফেলেছি’, দু’দিনের মাথায় নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার

Satyajit Mondal | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 28, 2023 | 6:07 PM

Murder : নাবালিকার হাত বাঁধা অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায়।

Murder: মাকে ফোনে জানায় ‘বিয়ে করে ফেলেছি’, দু’দিনের মাথায় নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার
দেহ উদ্ধার

Follow Us

ভাঙড় : কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুকুরআইট বড় আবাদে একটি নাবালিকার হাত বাঁধা অবস্থায় অর্ধনগ্ন মৃত দেহ উদ্ধারে ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ছুটে এলেন ডিসি এ বিলাল। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন (Murder) করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। হাত রয়েছে নাবালিকার প্রেমিকের (Lover)। সূত্রের খবর, এই প্রেমিকের সঙ্গেই শনিবার রাতে ঘর ছাড়ে নাবালিকা। পালিয়ে যাওয়ার পর ফোন করে বাড়িতে জানায় তাঁরা বিয়েও করে ফেলেছে। এদিকে এ ঘটনার পরেই থানায় নাবালকিকার নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবারের লোকজন। সেখানেই অপহরণ করার অভিযোগ ছিল নাবালিকার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে নাবালিকার দেহ উদ্ধারে প্রেমিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার মা বলেন, “মেয়েটা সন্ধ্যাবেলা ১০ টাকা চেয়েছিল আমার কাছে। আমি বলি তোর বাবাকে ২০ টাকা দিচ্ছি, ওটা থেকেই বিড়ি কিনবে আর তুই খাবার কিনিস। তারপর আমি জল আনতে চলে যাই। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি ওর। এদিকে এরইমধ্যে আমার ছেলের ফোনে একটা ফোন আসে। ছেলে বলে দিদি ফোন করছে। কাঁদছে ফোনে, কিন্তু কথা বলছে না। এরপর ওর হাত থেকে আমি ফোনটা নিয়ে নিই। আমি কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু, কেউ কথা বলেনি। বুঝতে পারি ওর মুখ বেঁধে রেখেছে। রাতেই আমি থানায় যাই। ঘটনার কথা জানাই।”  

সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক হয়েছিল ওই নাবালিকার। পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে ওই যুবকেরই। সেই অপহরণ করেছিল নাবালিকাকে। এ প্রসঙ্গে মৃতার মা বলেন, “ছেলেটা কাল ফোন করেছিল। ফোনে বলে ওকে জামাই হিসাবে মেনে নিতে। আমি বলি হ্যাঁ আমি তোমার শাশুড়ি, তুমি আমার জামাই। কিন্তু, আমার মেয়েকে ছেড়ে দাও। ও বলে হ্যাঁ আপনার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। এ কথা বলে হাসতে থাকে। এখন তো দেখি আমার মেয়ে মরেই গিয়েছে। আমার মেয়ে আগেই আমাকে ছেলেটার কথা বলেছিল। বলেছিল ছেলেটা নাকি ওকে ভালবাসে। আমি বলেছিলাম ছেলেটা ভাল নয়, ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখিস না।” অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “শুনেছি, ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছে নাবালিকার। বিয়ের পর থেকে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেছিল।” কিন্তু, আচমকা এখন এ ঘটনা কী করে ঘটে গেল তা বুঝতে পারছেন না তাঁরাও।

কিশোরী খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।

Next Article