Canning TMC Clash: রাস্তায় ফেলে বেধড়ক ‘মার’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গোষ্ঠীকোন্দলে’ উত্তপ্ত ক্যানিং

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 18, 2023 | 11:13 AM

Canning TMC Clash: বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের মলরাপিয়া এলাকায়।

Canning TMC Clash: রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত ক্যানিং
ক্যানিং থানা (ফাইল ছবি)

Follow Us

ক্যানিং: শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল।রাস্তায় ফেলে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের মলরাপিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী জহিরুল মণ্ডল। ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জহিরুল।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়িতে ফিরছিলেন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী জহিরুল। সেই সময় স্থানীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জহিরুলকে উদ্দেশ করে গালিগালাজ করতে থাকেন। প্রতিবাদ করেন জলিরুল।

অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিন জন। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তাঁর নাক,মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আর্তনাদ করতে থাকে।ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য কর্মীরা দৌড়ে আসেন। সুযোগ বুঝে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। সহকর্মীরা জহিরুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। ঘটনার এলাকার বিধায়ক পরেশরাম দাস মুখ খুলতে চাননি। জহিরুল এলাকায় অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ। তাঁর প্রতিক্রিয়া পেতে ফোন করা হয়েছিল। তিনি বর্তমানে আলিপুর জজ কোর্টে রয়েছেন। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান।

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদলের কাছে আরও একটি বড় ইস্যু গোষ্ঠীকোন্দল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকায় বিধায়ক হলেন যুব পক্ষ, আর অঞ্চল সভাপতি অপর পক্ষ। এলাকার দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিলই। এদিন তা প্রকট হয়।  অঞ্চল যুব তৃণমূল কনভেনর জালালউদ্দিন সর্দার বলেন, “ওরাই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওরা আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত। বরং আমাদের কর্মীদেরই কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। ওদের নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা হয়।” দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

Next Article